মঙ্গলবার, ১১:১৫ অপরাহ্ন, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
লড়াই করে বাঁচতে হবে, বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছে : পলক মৃত্যু গুজবের মধ্যেই শাজাহান-আমুর পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী পান্না কথা একটাই, আইন অনুযায়ী চলেন: ডিসিদের আইন উপদেষ্টা আ. লীগের কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, জানালেন আসিফ মাহমুদ কারও সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সর্ম্পক চাই না: শামা ওবায়েদ চট্টগ্রামে হাসনাত-আরিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা গৌরনদীতে দু পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা, ৫টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট ॥ নারীসহ আহত ৫ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিতে যুক্ত হলো জুলাই অভ্যুত্থান যেসব বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ বাড়ছে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

রাত আড়াইটা থেকে ৬টা পর্যন্ত কোথায় ছিলেন মামুন?

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২
  • ১৯৬ বার পঠিত

ফেসবুকে প্রেম করে নাটোরের ছাত্র মামুনকে বিয়ে করা খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রশ্ন উঠেছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেশী ও শিক্ষিকার আত্মীয়-স্বজনদের কেউ কেউ দাবি করছেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ রোববার সকালে খাইরুন নাহারের স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে, এ ঘটনার পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন ওই বাসার কেয়ারটেকার নিজামুদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে বাসায় প্রবেশ করেন মামুন। আবার রাত আড়াইটার দিকে বের হন। কেন বের হচ্ছেন- জানতে চাইলে মামুন বলেন, ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন। পরে সকাল ৬টায় মামুন আবার ফিরে আসেন। বাসায় ফেরার পর মামুন আমাকে ডাকেন। আমি চার তলায় গিয়ে দেখি, খাইরুন নাহারের লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

ওই শিক্ষিকার চাচাতো ভাই সাবের হোসেন বলেন, ‘সকালে একটা ফোন আসে, আমার বোন নাকি আত্মহত্যা করেছেন। খবর শুনেই গুরুদাসপুর থেকে ছুটে আসি। এসে দেখি, বোনের মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে। মরদেহের গলায় বেশ কিছু দাগ রয়েছে। এতে মনে হচ্ছে ঘটনাটি আত্নহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, এই দম্পতির খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এই সমালোচনার কারণেই খাইরুন নাহার আত্নহত্যা করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটির তদন্ত করছে।

সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এর আগে, এক ছেলের জননী খায়রুন নাহারের ডিভোর্স হয়েছিল আগের স্বামীর সঙ্গে। পরে ছয় মাসের প্রেমের পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরপর আজ ভোরে ভাড়া বাসা থেকে খায়রুন নাহারের লাশ উদ্ধার করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com