জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশের বিরূপ আচরণের সরাসরি প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামও।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। কেজি প্রতি সবজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে সাত টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মুদি পণ্যসহ মাছ-মাংস-ডিমের দাম। সব মিলে পণ্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল মানুষ। সবজি বাজারে বিক্রেতাদের নতুন অজুহাত হিসাবে বলা হচ্ছে, পরিবহন খরচ বাড়ায় বেড়েছে সবজির দাম।
প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ধুন্দল, পটল ও চিচিঙ্গা।
শসার দাম পড়ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বেগুনের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা; টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। প্রতি হালি লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ হিসেবে সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব সবজির দাম গড়ে ৫-৭ টাকা বেড়েছে।
চালকুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দলের কেজি ৬০ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৫০ টাকায়। এছাড়া কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।
এদিকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। প্রতি কেজি আদার দাম পড়ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। খোলা চিনি ৮৭ টাকা আর প্যাকেট চিনি ৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডালের দাম ১৪০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৭ টাকায়। আর প্যাকেট চিনি ৯২ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ভারতীয় মসুর বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
প্যাকেট আটার কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটা ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। ভোজ্য তেলেও কোনো সুখবর নেই। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২০৫ টাকা। বাজারে লাল ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। হাঁসের ডজন ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
মাংসের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬০০ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস এবং খাসি ৯০০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, তেলের দাম বাড়ার কারণে মুরগি বাজারে আনার খরচ বেড়েছে। একই সঙ্গে খামারগুলোতে বেড়েছে মুরগির দামও। সব মিলিয়ে এসব কারণে মুরগির দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে খাদ্য ও নিত্য পণ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। কয়েক হাত ঘুরে এই চাল খুচরা ক্রেতারা কিনতে গিয়ে উঠছে নাভিশ্বাস।