২০১৩ সালের পর গতরাতে জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের লজ্জা পেল বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বাকি থাকতে এই পরাজয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচের মতো সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ৫ উইকেটে হারে টাইগাররা। এমনকি প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দু’টি সেঞ্চুরি আসে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের কাছ থেকে।
দুই ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের যেখানে চারটি সেঞ্চুরি সেখানে বাংলাদেশের নেই কোনো সেঞ্চুরি। এমন বড় পার্থক্যই সিরিজ হারের কারণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেটে ৩০৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেছিলেন ওপেনার লিটন দাস। জবাবে ১০ বল বাকি রেখে ৩০৪ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের পক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা। কাইয়া ১১০ ও রাজা অপরাজিত ১৩৫ রান করেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটারদের হাত ধরে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২৯০ রান তুলেছিল টাইগাররা। সর্বোচ্চ ৮০ রান আসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাছ থেকে।
জবাবে অধিনায়ক রেগিস চাকাভা ও রাজার জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ২৯১ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। চাকাভা ১০২ ও রাজা অপরাজিত ১১৭ রান করেন।
দুই ওয়ানডেতে চারটি সেঞ্চুরি করে জিম্বাবুয়ে। সেখানে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটাররা সেঞ্চুরির ধারে কাছেও যেতে পারেননি। সিরিজে এই চার সেঞ্চুরিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপটের সাথে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ পকেটে ভরে নেয় জিম্বাবুয়ে। সেঞ্চুরি না থাকলেও ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি আছে বাংলাদেশের।
তবে জিম্বাবুয়ের চারটি সেঞ্চুরির বিপরীতে বাংলাদেশের সেঞ্চুরির ভাণ্ডার শূন্য হওয়ায় সিরিজ হারের পেছনে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন তামিম।
ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘সিরিজ হারের পার্থক্য হচ্ছে তারা চারটি সেঞ্চুরি পেয়েছে এবং আমরা একটিও পাইনি। এ কারণেই আমরা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারি। ভালো শুরু পেয়েছি, কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি।’
উইকেট ভালো থাকলেও নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেননি বলে জানান তামিম। জিম্বাবুয়ে ভালো খেলে সিরিজ জিতেছে এমনটা স্বীকার করলেন তামিম, ‘শুরু থেকেই উইকেট ভালো ছিল। স্পিনারদের বিপক্ষে খেলা সহজ ছিল না। জিম্বাবুয়েকে কৃতিত্ব দিতে হবে। এই সিরিজে সেরা দল ছিল তারা। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি এবং এজন্য আমরা এই অবস্থানে।’
২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ৯টি সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাত্র ২টিতে হারে টাইগাররা। ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। ১৮ ম্যাচ থেকে ১২০ পয়েন্ট টাইগারদের। আকাশে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়ে আনলো ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের ১৫তম দল জিম্বাবুয়ে।
সূত্র : বাসস