রবিবার, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

মধ্যরাতে ইলিশ ধরতে নদীতে নামবেন জেলেরা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৮ বার পঠিত

ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে ২২ দিনের যে মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল আজ ২৫ অক্টোবর তা শেষ হবে।

দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আশা নিয়ে নদীতে নামার অপেক্ষায় চাঁদপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলে।

তাদের প্রত্যাশা, নিষেধাজ্ঞা শেষে রূপালি ইলিশে ভরে উঠবে জেলের জাল এবং তাদের মুখে ফিরবে হাসি।

নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন ধরে নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। এসময় জীবিকা হারিয়ে চরম কষ্টে পড়েছিলেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল জেলেদের কাছে অপ্রতুল।

দীর্ঘ বিরতির শেষে নদীতে নামার জন্য শেষ সময়ে কেউ মেরামত করছেন নৌকা, কেউবা পুরোনো জাল সেলাই করে নিচ্ছেন নতুন করে। চোখে মুখে আনন্দের অনুভূতি থাকলেও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

চাঁদপুর সদরের আনন্দ বাজার এলাকার মেঘনা পাড়ের জেলে রকিবুল বলেন, সরকার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিসে, আমরা পালন করেছি। কিন্তু কিছু অসাধু জেলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে ইলিশ শিকার করেছে। আমরা এখন একবুক আশা নিয়ে নদীতে নামার অপেক্ষা করছি। আল্লাহ কবুল করলে নদীতে ইলিশ পাবো, না হলে ঋণের বোঝা বাড়বে।

চাঁদপুর সদরের আকবর জেলে বলেন, আমরা শেষ মুহূর্তে জাল সেলাই ও নৌকা মেরামত করছি। এখন নদীতে শুধু মাছ ধরবো। তবে নদীতে মাছ আছে কিনা বুঝতে পারছি না। না থাকলে সংসার চালাবো কী করে?

তারা আরও বলেন, এবছর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি, আর এখন মৌসুম শেষ। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলে কষ্টের পাল্লা আরও ভারী হবে।

অন্যদিকে, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, অন্য বছরের তুলনায় এই বছর পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অভিযান পরিচালনা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন যাতে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারে। এ বছর চারশোর মতো অভিযান চালিয়ে যারা আইন অমান্য করেছে তাদের জেল জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানটি সফল হয়েছে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও চাঁদপুরে সেই তুলনায় তেমন ঘটনা ঘটেনি।

এই বছর মা ইলিশ যেভাবে ডিম ছেড়েছে, সেই ডিমগুলো জাটকা থেকে সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারলে ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com