১১ অক্টোবর ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাসের জন্মদিনের সন্ধ্যায় বনানীর এক স্টুডিওতে জমে ওঠে আনন্দ আয়োজন। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন সাংবাদিকরা একসঙ্গে মেতে ওঠেন প্রিয় এই অভিনেত্রীর বিশেষ দিন উদযাপনে। কেক কাটা, আড্ডা আর স্মৃতিচারণে মুখর হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ।
এ আয়োজনে অপু বিশ্বাস ফিরলেন পুরোনো দিনে। শাকিব খানের সঙ্গে কাজের সময় কিংবা ব্যক্তিগত জীবনের নানা স্মৃতি উঠে এলো তার কথায়।
শাকিব খানের কাছ থেকে জন্মদিনে উপহার পেতেন কি না, এমন প্রশ্নে হেসে ফেলেন অপু। তারপর বললেন, ‘সে তো নিজের জন্মদিনই মনে রাখত না! আমরা যখন কেক কেটে উদযাপন করতাম, তখন সে এসে বলত—ডায়েট করছি, এত খাবার কেন! ওর নিজের জন্মদিনই ঠিকমতো পালন করত না। সে সবসময় একটু রিজার্ভ থাকতে পছন্দ করে, হয়তো ভাবে—বললেই হালকা হয়ে গেলাম! প্রথমদিকে হয়তো শপ থেকে সালোয়ার কামিজ বা কসমেটিকস নিয়ে আসত; কিন্তু পরে মনে রাখার প্রয়োজন মনে করত না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘স্ক্রিনে একজন মানুষ যতটা রোমান্টিক, বাস্তবে ততটাই আনরোমান্টিক। তবে শাকিব সবসময় হাসাতে ভালোবাসে। তখন আমি রোমান্টিক-আনরোমান্টিকের পার্থক্য বুঝতাম না বলেই হয়তো এমনটা লাগত।’
নিজের জন্মদিনে যদি একটি উইশ করতে বলা হয়—এমন প্রশ্নে অপু বিশ্বাসের উত্তর ছিল একেবারেই আবেগঘন। ‘তিনটা উইশের মধ্যে আমার একটা কথাই থাকবে—আমি যেন একজন সফল মা হতে পারি। আমার সন্তানের জীবনটা নতুন, তার যাত্রাটাও নতুন। সেখানে যেন আমি একজন পরিপূর্ণ মা হিসেবে পাশে থাকতে পারি। আমি চাই, সে যেন শিখে নেয়—ভালোবাসলেই ভালোবাসা পাওয়া যায়।’
শেষে বিনোদন সাংবাদিকদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই তারকা বলেন, ‘আজকে আপনাদের সবাইকে পাশে পেয়ে আমি সত্যিই ভীষণ আনন্দিত। আমার সন্তানের পর যদি কিছু খুব স্পেশাল বলতে হয়, তাহলে বলব—আপনারা। এই দিনটা আমি সারা জীবন মনে রাখব।’