মঙ্গলবার, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

শুল্ক দিয়ে যুদ্ধ থামিয়েছেন ট্রাম্প!

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৯ বার পঠিত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, তার বাণিজ্য হুমকিই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনার মূল কারণ।

তিনি বলেন, তার বিতর্কিত শুল্কনীতি দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছে। ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘শুল্ক আরোপের কারণে’ এখন শান্তির মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত—এবং এ থেকে ওয়াশিংটন ‘শত শত বিলিয়ন ডলার’ উপার্জন করছে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি আমার কাছে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা না থাকত, তাহলে সাতটি সম্ভাব্য যুদ্ধের মধ্যে অন্তত চারটিতে এখনও আগুন জ্বলত।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের মুখোমুখি ছিল। সাতটি বিমান নামানো হয়েছিল। আমি ঠিক কী বলেছিলাম তা প্রকাশ করতে চাই না, তবে যা বলেছি তা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আমরা শুধু বিশাল অর্থ আয় করিনি, বরং শুল্কের কারণে আমরা শান্তি রক্ষাকারীও হয়েছি।’

এটি প্রথমবারের মতো নয়। চলতি বছরের ৩০ মে সামাজিক মাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘দীর্ঘ রাতের’ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে। এরপর তিনি একাধিকবার দাবি করেছেন, তিনি ‘নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করতে সহায়তা করেছেন।’

আগস্টে ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, দুই এশীয় প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাণিজ্যিক হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে চাই না… তোমরা প্রায় পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছ। আমি বলেছি, কাল আমাকে ফোন করো, তবে আমরা কোনো চুক্তি করব না, বরং এমন শুল্ক বসাব তোমাদের মাথা ঘুরে যাবে।

ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, মোদির সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার আলোচনার মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তান শান্তিচুক্তিতে পৌঁছে যায়।

তবে ভারত দাবী করে, যুদ্ধবিরতি বা গোলাগুলি বন্ধের বিষয়ে সমঝোতা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজিএমও) এবং ভারতের সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে।

প্রথমে পাকিস্তান ট্রাম্পের দাবিকে অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে এবং ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com