সোমবার, ০৬:৪২ অপরাহ্ন, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
প্রতীকে সংশোধন এনে ইসিতে ফের আবেদন করল এনসিপি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি নারীর পা বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় কলকাতায় ব্যবসায়ীদের হাজার কোটি টাকার ক্ষতি আমি এখন প্রেমে নেই : তানিয়া বৃষ্টি সিডনিতে নজিরবিহীন মিছিল, ফিলিস্তিনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ জনস্রোত ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থী ইমরানের জবানবন্দি : হাসপাতালে ‘নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার পুলিশের বিরুদ্ধে ১১ মাসে ৭৬১ মামলা, গ্রেপ্তার ৬১: টিআইবি পানি খাওয়ার নাম করে শাম্মীর বাসায় ঢোকে অপু-রিয়াদ ছাত্র হত্যার নতুন মামলায় ইনু-মেনন-পলক গ্রেপ্তার

২৩ বিষয় নিয়ে শুরু হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি বাতিল করে সমন্বিত স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় আন্দোলন। অসংখ্যবার সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংকট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা কমিটি গঠন। ওই কমিটির সুপারিশের পর আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের আরেক কমিটির দৌড়ঝাঁপ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক। এরপর ঢাবির অধিভুক্তি বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার স্নায়ুক্ষয়ী এমন নানা ধাপ পেরিয়ে অবশেষে রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজকে নিয়ে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রস্তাবিত এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। প্রথমে ৪টি অনুষদে ২৩টি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হবে ধাপে ধাপে। পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থাকছে, যা হবে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম।

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষে ভর্তি পরীক্ষা এবং এর ধারাবাহিকতায় দ্রুততম সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য (ভিসি), দুজন উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) ও একজন কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) নিয়োগ এবং একজন প্রক্টর ও ১৪ ডেপুটি প্রক্টরসহ ১৫ সদস্যের প্রক্টরিয়াল বডি গঠন করা হবে। বর্তমানে জাতীয় সংসদ না থাকায় এ-সংক্রান্ত আইন পাসের সুযোগ নেই, তাই আপাতত অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সম্মতি দেবেন রাষ্ট্রপতি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবেন একজন উপাচার্য, দুজন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক ও প্রশাসনিক), একজন ট্রেজারার এবং একজন প্রক্টর। সাত কলেজের প্রতিটিতে একজন পুরুষ ও একজন নারী করে মোট ১৪ জন ডেপুটি প্রক্টর দায়িত্ব পালন করবেন। শিক্ষা হবে ইন্টারডিসিপ্লিনারি (একাধিক শাখার মধ্যে সমন্বয়) ও হাইব্রিড (অনলাইন ও অফলাইন দুটি পদ্ধতিকে এক করে সমন্বয়) ধাঁচের। যেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইন এবং বাকি ৬০ শতাংশ হবে অফলাইনে। তবে সব পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে সশরীরে। শিক্ষার্থীরা প্রথম চার সেমিস্টারে নন-মেজর কোর্স এবং পরবর্তী চার সেমিস্টারে পড়বেন মেজর কোর্স।

পঞ্চম সেমিস্টারে শর্তসাপেক্ষে ডিসিপ্লিন পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও কলেজ পরিবর্তন করা যাবে না। বর্তমানে বিভিন্ন বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আগের নিয়মেই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করবেন। তবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ এবং এর পর ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থী নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ (সার্টিফিকেট) পাবেন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে কোনো আইনি ও প্রশাসনিক পদ্ধতি অনুসরণ না করেই রাজধানীর সরকারি সাতটি বড় কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই সেশনজট, পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব, শিক্ষক ও অবকাঠামো সংকট, সার্টিফিকেট পেতে বিড়ম্বনাসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে অধিভুক্তি বাতিল করে স্বতন্ত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। অসংখ্যবার সড়ক অবরোধ করে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশের সঙ্গে। এরপর সাত কলেজের সমস্যা চিহ্নিত করতে একটি পর্যালোচনা কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই কমিটির সুপারিশের পর আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের জন্য ইউজিসির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের আরেকটি কমিটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে সাত কলেজের ঢাবির অধিভুক্তি বাতিল এবং স্বতন্ত্র ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় করার সুপারিশ করে গত ডিসেম্বর মাসে। ওই সুপারিশ জমার পর নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও কাঠামোগত দিক চূড়ান্তে একাধিক বৈঠক করে এ-সংক্রান্ত কমিটি। আজ সোমবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার একটি সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য প্রণীত খসড়া থেকে জানা গেছে, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে চারটি প্রধান স্কুল বা অনুষদে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্স পরিচালিত হবে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা কলেজ থেকে। স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজে পরিচালিত হবে স্কুল অব বিজনেস স্টাডিজ। স্কুল অব ল অ্যান্ড জাস্টিস কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে পরিচালিত হবে। স্নাতক পর্যায়ে মোট ২৩টি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হবে। যেখানে প্রতিটি ডিসিপ্লিনে সর্বোচ্চ ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজে প্রায় ২৫ একর জমি অব্যবহৃত রয়েছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস, প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি, মেডিকেল সেন্টার এবং ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে একাডেমিক কাউন্সিল, সিনেট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। কলেজগুলো শুধু স্নাতক (অনার্স) পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করবে। বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সাত কলেজের পাঁচটিতে আগের মতোই একাদশ পর্যায় চালু হবে। বাকি দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইডেন এবং কবি নজরুল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় চালু করতে হবে। স্নাতক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা টাইম, স্পেস ও রিসোর্স শেয়ারিং পদ্ধতিতে একই ক্যাম্পাস ব্যবহার করতে পারবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জনবল ও বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। কলেজগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগকৃতদের বণ্টন করতে পারবে। বাজেট গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে। প্রতিটি কলেজে ওয়ানস্টপ সার্ভিস পয়েন্ট থাকবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যে কোনো প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। প্রতিটি কলেজে থাকবে আধুনিক মানসম্পন্ন লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া ও মেডিকেল সেন্টার। এ ছাড়াও প্রতিটি কলেজেই পরিবহন ব্যবস্থা থাকবে।

চার ধাপে প্রতিষ্ঠা হবে বিশ্ববিদ্যালয়: চারটি ধাপে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানা গেছে। প্রথম ধাপে খসড়া আইন প্রণয়ন, খসড়া আইন অনুমোদন এবং অধ্যাদেশ জারি করা হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষর হবে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে উপাচার্য নিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে। তবে ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজ শুধু নারীদের কলেজ হওয়ায় সেখানে ছেলেদের প্রবেশের বিষয়টি যেমন অস্পষ্ট, তেমনি ঢাকা কলেজ শুধু পুরুষের হওয়ায় এখানে নারীদের প্রবেশের বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো চুক্তির নজির নেই। যেহেতু শিক্ষা উপদেষ্টা এ বিষয়ে আজ ব্রিফিং করবেন, তাই বিষয়টি নিয়ে ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

যেসব বিষয়ে করা যাবে স্নাতক: ঢাকা কলেজে পড়ানো হবে গণিত, পরিসংখ্যান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ডাটা সায়েন্স, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি ও রসায়নসহ ৭টি বিষয়। ইডেন কলেজে থাকবে পদার্থবিজ্ঞান, অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ফরেস্ট্রি সায়েন্সসহ ৫টি বিষয়। বদরুন্নেসা কলেজে ২টি বিষয়—আরবান অ্যান্ড রুরাল প্ল্যানিং এবং এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পড়ার সুযোগ থাকছে। সরকারি তিতুমীর কলেজে পড়ার সুযোগ থাকছে অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, হোটেল অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস এবং ব্যাংক অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ম্যানেজমেন্টসহ ৬টি বিষয়ে। সরকারি বাঙলা কলেজে জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্টাডিজ, ফটো অ্যান্ড ভিডিওগ্রাফি, অ্যাপ্লাইড সোশিওলজি, পলিটিক্যাল ইকোনমি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অর্থনীতি এবং ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স অ্যান্ড ডিপ্লোমেটিক স্টাডিজসহ ৬টি বিষয় পড়ানো হবে। আর কবি নজরুল কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ যৌথভাবে ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস’-এর একটি বিভাগে পাঠদান চলবে।

ভর্তি হতে পারবেন যারা: বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হবে। যারা ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের এসএসসি এবং ২০২৩ বা ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। গত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের জন্য যারা আবেদন করেছিলেন, তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে যারা আবেদন প্রত্যাহার করতে চান, তারা ৩ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন প্রত্যাহার করতে পারবেন এবং তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। নতুন করে ৩ আগস্ট থেকে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা collegeadmission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা। সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের যে কোনো শাখায় অথবা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে এ ফি জমা দেওয়া যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার জন্য আগামী ২২ ও ২৩ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা ২২ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে ৪টা, বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা ২৩ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা এবং ব্যবসা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা ২৩ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ১৭ আগস্ট থেকে এবং আসনবিন্যাস ২০ আগস্ট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘যেহেতু শিক্ষা উপদেষ্টা কথা বলবেন (আজকের ব্রিফিং) তাই আমি বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। তবে আমাদের প্রস্তাব ছিল যাই করা হোক না কেন, কলেজগুলোর যেন স্বতন্ত্রতা বজায় থাকে। যেমন ঢাকা কলেজ ছেলেদের ও ইডেন-বদরুন্নেসা মেয়েদের। এসব যেন মিক্সড (মিশ্র) না হয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com