৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি পাকিস্তান জিতলেও দ্বিতীয়টিতে জিতে সিরিজ জমিয়ে তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় ম্যাচটি তাই পরিণত হয় অলিখিত ফাইনালে। আজ বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে লডারহিলে হওয়া তৃতীয় ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও হারে ক্যারিবিয়ানরা। ফলে, বাংলাদেশ সিরিজের ক্ষত সারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের জয় এসেছে ১৩ রানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানেই থামতে হয় ক্যারিবিয়ানদের।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে বড় জুটি গড়েন পাকিস্তানের সাইম আইয়ুব ও সাহিবজাদা ফারহান। ১২০ বলের খেলায় এই দুজনই একসঙ্গে খেলেন ৯৮ বল। যদিও এই সময়ে অত বেশি রান হয়নি। ১৩৮ রান যোগ করেন তারা। ফারহান ৫৩ বলে ৭৪ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। ৩টি চারের পাশাপাশি ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় ফিফটি।
প্রথম উইকেটের পতনের পর দ্রুতই হাসান নওয়াজ (৭ বলে ১৫), মোহাম্মদ হারিস (২ বলে ২) ও সাইম আইয়ুবকে হারায় পাকিস্তান। ৪৯ বলে ৬৬ রান আসে সাইমের ব্যাট থেকে। শেষদিকে খুশদিল শাহর ৬ বলে ১১ ও ফাহিম আশরাফের ৩ বলে ১০ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে শেষদিকে বাদে প্রায় পুরোটা সময়ই জয়ের সম্ভাবনায় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথ দুই ওভারেই ৩৩ রান তোলে তারা। ওপেনিংয়ে ৪৪ রান যোগ করেন জুয়েল অ্যান্ড্রু ও আলিক আথানেজ। ১৫ বলে ২৪ রান করে আউট হন অ্যান্ড্রু। এরপর ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি করার পথে ৩১ বল খরচ করেন আথানেজ। ১১ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করে ফেলে উইন্ডিজ। তবে মাঝের ওভারগুলোতে পাকিস্তানি বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে শেষদিকে চাপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। শুরুতে ঝড় শুরু করা আথানেজ শেষ পর্যন্ত ৬০ রান করতে খরচ করেন ৪০ বল।
রানের চাপ বাড়ায় রোস্টন চেজ তো ১২ বলে ১৫ রান করে রিটায়ার্ড আউটই হন! জেসন হোল্ডার নেমেও দলকে রক্ষা করতে পারেননি। শেরফান রাদারফোর্ড (৩৫ বলে ৫১) ফিফটি পেলেও দলের জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট দ্রুতগতির ছিল না। দারুণ বল করে ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দেন সুফিয়ান মুকিম। তাতে জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতেই থামে ক্যারিবিয়ানদের পথচলা।
অস্ট্রেলিয়ার পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে, বাংলাদেশে সিরিজ হারের পর উইন্ডিজে গিয়ে সিরিজ জিতল সালমান আগার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। ম্যাচসেরা হয়েছেন ফারহান। আর সিরিজসেরা ৩ ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ।