১৯৩০ সালে লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়েতে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল। দেখতে দেখতে কেটে গেছে ৯২ বছর। চলতি বছর কাতারে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বকাপের ২২তম আসর।
২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো যৌথভাবে আয়োজন করবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই খেলা। এরপরেই ২০৩০ সালে প্রথমবারের মতো সেন্টেনিয়াল জুবিলি বা শতবর্ষের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা। শতবর্ষের সেই বিশ্বকাপ আবার উরুগুয়েতে ফেরাতে চায় দেশটি।
তবে এবার আর এককভাবে নয় বরং লাতিন আমেরিকার অন্য তিন দেশ আর্জেন্টিনা, চিলি এবং প্যারাগুয়ের সঙ্গে যৌথভাবে শতবর্ষের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় উরুগুয়ে। এ লক্ষ্য ইতোমধ্যে দেশগুলোর ফুটবল ফেডারেশন মিলিতভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপের জন্য আবেদন করেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশন কনমেবলের সভাপতি আলেজান্দ্রো ডমিনগুয়েজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, শতবর্ষের ফুটবল বিশ্বকাপ লাতিন আমেরিকায় ফেরানো তাদের স্বপ্ন।
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম আসরের পরবর্তী এক শ বছর কেবল একবারই পাওয়া যাবে। এবং আমরা চাই এটা (ফুটবল বিশ্বকাপ) আবার তার ঘরে (প্রথম আয়োজক দেশ) ফিরে আসুক। আমরা বিশ্বাস করি, ফিফা আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট কারণ।’