মঙ্গলবার, ১১:৪৯ অপরাহ্ন, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
এবারে আমাদের লক্ষ‍্য সংসদ ভবন-বরিশালে এনসিপির পদসভায় নাহিদ গৌরনদীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ পন্ড বনানীতে পথশিশুকে ধর্ষণ নিবন্ধন চেয়ে আবেদন : ১৪৪ দলের কোনোটিই উত্তীর্ণ হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু এনবিআরের আন্দোলনের জেরে আরও ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত গ্রেনেড হামলা মামলা : তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার কমিশনের ব্যর্থতার দায় সবাইকে নিতে হবে: আলী রীয়াজ অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি শরীরে কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না বুঝবেন যেভাবে

কুমিল্লায় যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন, স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৪

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৬ বার পঠিত

কুমিল্লায় স্টেশন মাস্টারের ভুলে যাত্রী রেখে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন চলে গেল অন্য স্টেশনে। এতে করে শত শত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

গত কাল সোমবার (১৪ জুলাই) কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে থেমে সিডিউল মোতাবেক যাত্রী ওঠা-নামা করানোর কথা ছিল। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ট্রেনটি পূর্ব নির্ধারিত স্টেশনে না থেমে মাস্টারের ভুল সিগনালের কারণে যাত্রী ওঠা-নামা না করেই চলে যায়।

এতে করে শত শত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একপর্যায়ে স্টেশন মাস্টারকে ঘেরাও করে যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। পরে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামিয়ে চট্টগ্রামের যাত্রীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল বলেন, “আমি লাকসাম কেবিনে দায়িত্বরত মাস্টারকে ট্রেন পরিচালনার জন্য বলেছিলাম। তিনি ৮০২ চট্রলার স্থলে ৭০২ সুবর্ণ মনে করে চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেন নাঙ্গলকোটে থামাননি। কেবিন মাস্টারের ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।”

লাকসাম রেলওয়ের কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন, “আমি ৮০২ চট্রলা ট্রেনের নাম লিখে দিয়েছি। ৭০২ সুবর্ণ ট্রেনের নাম আমি লিখি নাই। আমরা দুজন মাস্টার ভুল করতে পারি, কিন্তু ট্রেনের ড্রাইভার ভুল করতে পারেন না। তিনি তো স্টপেজ দিতে পারতেন। ট্রেনের গার্ড তো ভুল করতে পারেন না, তিনিও স্টপেজ দিতে পারতেন।”

কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, “দায়িত্ব অবহেলার কারণে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারসহ সংশ্লিষ্ট চারজনকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com