ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকে নিজ নিজ সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় বহিষ্কৃতরা আসামি।
সংগঠন তিনটি জানিয়েছে, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংগঠন তিনটি।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকিকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রদলের মহানগর দক্ষিণ শাখার অধীনস্থ চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব অপু দাসকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ।
এ ছাড়া মাহমুদুল হাসান মাহিন ২০১৮ সালের আগে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের কার্যক্রমে জড়িত নেই। মাহিনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ।
স্বেচ্ছাসেবক দল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু-কে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।