মঙ্গলবার, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধন গৃহযুদ্ধের মাঝেই মিয়ানমারে নির্বাচন, কী চাইছে জান্তা? ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল তৈরি করা হয়েছে: উমামা ফাতেমা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার আবেদন হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে মাই টিভির চেয়ারম্যান সাথী এস এম মনিরুজ্জামান মনির বাউরগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের শুনানি শুরু ২৪ আগস্ট ১৮ বছর আগে বরখাস্ত হওয়া ৩২৮ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ নতুন বিতর্কের মুখে জুলাই শহীদদের ফ্ল্যাট প্রকল্প জুলাই হত্যাযজ্ঞ : শেখ হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

ব্যাংক খাতে দ্রুত বাড়ছে মন্দ ঋণ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৭২ বার পঠিত

ব্যাংক খাতে মন্দ মানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের ৮৪ শতাংশের বেশি মন্দ মানের। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। গত ছয় মাসে এই ঋণ বেড়েছে প্রায় সোয়া ১ লাখ কোটি টাকা। আর মন্দ ঋণ বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জাল-জালিয়াতি ও যোগসাজশের মাধ্যমে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় জামানত না থাকায় তা আদায়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

খেলাপি ঋণ আদায়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সম্প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন নতুন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। তারা জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি যতই প্রভাবশালী হন না কেন, তিনি বা তার গ্রুপভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পাবে না। পাশাপাশি জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া কোনো ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও হবে না। তবে এসব কথা আমরা আগেও অনেকের কাছে শুনেছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল ভিত্তির ওপর বিতরণকৃত বা প্রদত্ত অনেক ঋণের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। তাই পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা গেলে মন্দ হয়ে যাওয়া ঋণ পরিশোধে যেমন কাজে লাগানো যেত, তেমনই দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হতো। মন্দ ঋণ আদায় ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ব্যাংক তথা বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রচলিত নীতিমালা অনুসরণ করেই অনেকটা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে সে ক্ষেত্রে অহেতুক হস্তক্ষেপ বন্ধেরও নিশ্চয়তা প্রয়োজন। তা ছাড়া ঋণখেলাপিদের সদুপদেশ দিয়ে লাভ নেই। তালিকা করে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব ঋণখেলাপি ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাদের দেশে ফেরত এনে অর্থ উদ্ধার করার দায়িত্ব সরকারেরই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com