রবিবার, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: বিচারের আওতায় আসেনি অপরাধীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো জড়িতদের কোনো শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। আবাসিক হলের সন্ত্রাসীদের কক্ষে অস্ত্র পাওয়া গেলেও তাদের নামে আজও মামলা করা হয়নি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেটে দুই শিক্ষক এবং সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি সাংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এ সিন্ডিকেট সভার ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।

২০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৯তম সিন্ডিকেট সভায় আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সেমিস্টার অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ড ২৩ জনকে এক সেমিস্টার, ৩৩ জন দুই সেমিস্টার ও ১৫ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের লঘুদণ্ড দেওয়ার কথা শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন-কর্মসূচি করলেও তা আমলে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি।

এই অভিযুক্ত ১৫ জনের তালিকায় রয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি পমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহাফুজসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন শামসুর রহমান সুমন, তিনি বলেন আমরা চাচ্ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে যারা ঘটনায় প্রকৃত জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবে। কিন্তু ৪ মাস পার হলেও এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাই এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অপর এক শিক্ষার্থী এসএম আশিকুর রহমান বলেন, আমরা অপরাধীদের নামে মামলা করার জন্য সাক্ষীর তালিকা তৈরি করছি। দ্রুতই সাক্ষীর তালিকা প্রশাসনে জমা দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, এখন সবাই নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। প্রশাসন ব্যস্ত তাদের নিজের কাজে আর সমন্বয়করা ব্যস্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে। ভুলে গেছে আবু সাঈদকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান বলেন, দুজন শিক্ষক এবং সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা তিনবার নোটিশ দেব। এর পরে কোনো উত্তর না পেলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, আমরা কাজ করছি। আবু সাঈদ ও তার সহপাঠীদের ওপর হামলাকারীদের শিগগিরই বিচারের আওতায় আনা হবে। সন্ত্রাসীরা কেউই ছাড় পাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com