বিপিএল শেষ হতে না হতেই মাঠে নেমে পড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য গতকাল থেকে অনুশীলন শুরু করেছেন টাইগাররা। অবশ্য বিপিএলের ফাইনাল খেলা (ফরচুন বরিশাল-চিটাগং কিংস) দুই দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকা কোনো ক্রিকেটার এদিন মাঠমুখো হননি। তারা ছুটি কাটিয়েছেন। প্রথম দিনের অনুশীলনের শুরুটা ছিল ফিটনেস টেস্ট দিয়ে। দুপুরে মিরপুরে ব্যাটে-বলে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলী অনিক, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব। বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের জন্য নিজের প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেননি সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। শিষ্যদের ব্যাটিং নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সামনে এখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যস্ততা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞ। হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা হবে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপে। তাদের সঙ্গী ইন্ডিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ইন্ডিয়া ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ দল। গ্রুপপর্বের বাকি দুটি ম্যাচ পাকিস্তানে। ২৪ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবেন টাইগাররা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতেই গতকাল থেকে অনুশীলন সেশন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি তারা রওনা দেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে। এবার বড় কোনো লক্ষ্য না থাকলেও ভালো করার আশা ব্যক্ত করে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছিলেন, ‘এখানে সবাই শক্তিশালী দল। এর পরও যে বাংলাদেশের সুযোগ একেবারেই নেই, তা নয়। বাংলাদেশ যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে, তবে পরের রাউন্ডে যাওয়া অসম্ভবও নয়।’
মিরাজের চোখ সেমিতে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছিলাম ইংল্যান্ডে। অবশ্যই আশা করি, এবারও সেমিফাইনাল খেলব ইনশাআল্লাহ।’ বাংলাদেশ খেলবে দুবাই ও পাকিস্তানে। দুই দেশের দুই রকম কন্ডিশন। মিরাজ অবশ্য চ্যালেঞ্জ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘দুবাইয়ে উইকেট অন্য রকম থাকে, একটু গরম থাকবে, উইকেট অনেক সময় বোলিংসহায়ক ও ব্যাটিং সহায়ক থাকে। আর রাওয়ালপিন্ডিতে আমাদের বড় একটা সুযোগ থাকবে। যেহেতু পাকিস্তানে দুটি টেস্ট ম্যাচ একই মাঠে খেলে জিতেছি। ওই কন্ডিশনটা আমরা জানি, ওখানে উইকেটটা কী রকম। বিশেষ করে আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে, যেহেতু আমি ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলাম ওখানে। উইকেট অনেক ভালো থাকবে। চ্যালেঞ্জ থাকবে বোলারদের জন্য।’
অফফর্মের কারণে লিটন দাসের জায়গা হয়নি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে। তার পরিবর্তে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে ডাক পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে যথেষ্ঠ প্রশ্ন ছিল। তবে বিপিএলের শুরুর দিকে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ইমন। টুর্নামেন্টে শীর্ষ ১০ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। চিটাগং কিংসের হয়ে ১৩ ম্যাচে ২৮ গড়ে ৩৩৮ রান করেছেন। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকা তানজিদ হাসান তামিমও দারুণ ছন্দে আছেন। বিপিএলে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক (১২ ম্যাচে ৪৮৫ রান করেছেন)। বোলারদের মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে তাসকিন আহমেদ (২৫)।