লেজার রিসারফেসিং হলো মুখের বলিরেখা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের ক্ষত বা ব্রণের দাগ কমানোর চিকিৎসা। লেজার রিসারফেসিং চিকিৎসা মূলত সূক্ষ্ম বলিরেখা হাল্কা থেকে মাঝারি ব্রণের দাগ, অসম ত্বকের টোন বা টেক্সচার, রোদে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক ঠিক করতে ব্যবহার হয়।
কীভাবে করা হয় : শরীরের যে জায়গায় লেজার রিসারফেসিং করতে হবে, সেখানে লোকাল চেতনানাশক ব্যবহার করতে হবে। এরপর ওই জায়গায় লেজার রশ্মি দিতে হবে। এই রশ্মি ত্বকের বাইরের স্তরকে ধ্বংস করবে। একই সঙ্গে লেজার নিচের ত্বককে নিরাময় করে। এর ফলে আস্তে আস্তে কোলাজেন উৎপাদন বাড়বে। ত্বকের টোন এবং গঠনও ঠিক হবে। অ্যাবলেটটিভ লেজার রিসারফেসিং ৩০ মিনিট থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসও লাগতে পারে।
পদ্ধতির পরে : ত্বক লালচে, ফোলা এবং চুলকানি হবে। চিকিৎসা করা ত্বকে অনেক ভারী করে মলম লাগাতে হবে। বায়ুরোধী এবং পানিরোধী ড্রেসিং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ব্যথা বোধ করলে ডাক্তার পেইনকিলার এবং শীতল কম্প্রেসরের পরামর্শ দিতে পারেন। প্রায় এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে, নতুন ত্বক এলাকাটি ঢেকে দেবে। এ সময়, সানস্ক্রিন বা প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। কোনো ধরনের প্রসাধন ব্যবহার করলে মুখে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সাঁতার করা যাবে না। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কাদের ঝুঁকি : অ্যাবলেটটিভ লেজার রিসারফেসিং বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন লালভাব, ফোলাভাব এবং চুলকানি যে ত্বকের চিকিৎসা করা হয় সেটি চুলকানি, ফোলা এবং লাল হয়ে যেতে পারে। লালভাব তীব্র এবং এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে, অ্যাবলেটটিভ লেজার রিসারফেসিং ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা ভাইরাল সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসার পরে মুখে ক্রিম বা ব্যান্ডেজ থাকার কারণে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বা এমনকি চিকিৎসা করা ত্বকে ছোট সাদা ফুসকুড়ি তৈরি হতে পারে।
অ্যাবলেটটিভ লেজার রিসারফেসিং স্থায়ী দাগের সামান্য ঝুঁকি তৈরি করে। লেজার রিসারফেসিং করার পর কারও কারও ত্বক আগের তুলনায় কালো বা ফ্যাকাশে হতে পারে।
ননবেলটিভ লেজার রিসারফেসিং হারপিস ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ত্বক ফুলে যাওয়া এবং লালচে ভাব অনুভব করতে পারেন। তবে এই সমস্যা শুধু কয়েক ঘণ্টা বা এক দিন স্থায়ী হতে পারে।
যারা করতে পারবেন না : লেজার রিসারফেসিং সবার জন্য নয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের না করাই ভালো। যাদের ত্বক স্পর্শকাতার, অল্পতেই ত্বকে দাগ হওয়ার প্রবণতা থাকে। হারপিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আপনার গায়ের ত্বকের টোন গাঢ়। মুখে রেডিয়েশন থেরাপি করা হয়েছে। গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন বাচ্চাকে এমন মাও করতে পারবেন না।