আজ ২৫ ডিসেম্বর শুভ ‘বড়দিন’। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা দিনটিকে বড় উৎসব হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। একে ‘ক্রিসমাস ডে’ নামেও অভিহিত করা হয়। দিনটি পালনে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। করা হয়েছে আলোকসজ্জা। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বড়দিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দিনটিকে ঘিরে রাজধানীর গির্জাগুলোয় ইতোমধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ ছাড়া খ্রিষ্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এই টাকা প্রদান করা হয়েছে।
খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় নেতা যিশুখ্রিষ্ট। আদিযুগীয় খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, কুমারী মাতা মেরির গর্ভে ২৫ ডিসেম্বর তিনি বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য যিশুখ্রিষ্ট জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি মুসলমানদের কাছেও একজন শ্রদ্ধার পাত্র। মুসলমানরা তাকে আল্লাহর রাসুল ও নবী হজরত ঈসা (আ:) হিসেবে জানেন ও মানেন।
বড়দিন পালনে দেশের সব গির্জা সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে গির্জাগুলো। বর্ণিল সাজে সেজেছে ক্রিসমাস ট্রি। তা দেখতে অনেকে ভিড় করছেন গির্জাগুলোতে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা আজ সারা দিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদথযাপন করবেন। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন।
খ্রিষ্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আড়াই কোটি টাকা অনুদান: ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এই টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ বছর দেশের ৭৪৬টি খ্রিষ্টান ধর্মীয় উপাসনালয় কিংবা প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সাতটি ভাগে ভাগ করে অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে চার্চ, গির্জা ও তীর্থস্থান। খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এ অনুদান বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য ‘ক’ ক্যাটাগরি ৫টি চার্চ বা গির্জাকে ৮০ হাজার টাকা, ‘খ’ ক্যাটাগরির ৫৬টি চার্চকে ৫০ হাজার টাকা, ‘গ’ ক্যাটাগরির ৮০টি গির্জা বা চার্চকে ৩৫ হাজার টাকা ‘ঘ’ ক্যাটাগরির ১৩৫টি চার্চকে ৩০ হাজার টাকা, ‘ঙ’ ক্যাটাগরির ১৫২টি চার্চকে ২৫ হাজার টাকা, ‘চ’ ক্যাটাগরির ২১৩টি চার্চকে ২০ হাজার এবং ‘ছ’ ক্যাটাগরির ১০৫টি চার্চকে ১৮ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৫০ লাখ টাকা পরে বিতরণ করা হবে।