নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ তিনদফা দাবি আদায়ের জন্য রোববার সকালে বরিশালের গৌরনদীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে স্থানীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বিক্ষোভকারী ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা তাদের মিছিল ও সমাবেশ থেকে স্থানীয় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে “সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত গৌরনদী প্রতিষ্ঠাসহ বাসযোগ্য বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠার তিনদফা দাবি জানায়। এ দাবি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গৌরনদী উপজেলা, পৌর ও সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার যৌথ উদ্যোগে বোরবার বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড এলাকা প্রদক্ষিন শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে একটি সমাবেশে মিলিত হয়।
বিএনপির অভ্যন্তরিন একটি সূত্রে জানাগেছে, সারা বাংলাদেশের ন্যায় গত ১৫ বছরে বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ দলের শত,শত নেতাকর্মী হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়। যার প্রধান খলনায়ক ছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা, গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভ‚ইয়া ও তার সহযোগী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। ৫ আগষ্টের পর গা ঢাকা দিলেও সম্প্রতি সান্টু ভ‚ইয়া তার ভগ্নিপতি প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় এলাকায় ফিরে আসে। এসেই নিজ অনুসাধীদেরকে ভগ্নিপতির দলে ভিড়িয়ে দিয়ে ভগ্নিপতির নেতৃত্বে তাদের দ্বারা এলাকায় সন্ত্রাস, দখলবাজী ও চাঁদাবাজী চালাচ্ছে। তাদের হাতে ইতোমধ্যে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অনেক নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ কারনে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বিএনপিসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
যার বহিপ্রকাশ হিসেবে রোববার সকালে সান্টু ভ‚ইয়া ও তার অস্ত্রধারী সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে ছাত্রদলের নেতা-কমীরা। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে বক্তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে স্থানীয় প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়। তারা গৌরনদীকে মাদকের নরক ভূমিতে পরিণতকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদেকে গ্রেফতার এবং ব্যাস্ততম বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের জনাকীর্ণ জায়গা থেকে সকল বাস কাউন্টারগুলো সরিয়ে নিয়ে সরকারিভাবে স্থায়ী বাস টার্মিনাল করে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান