ড্রোন হামলার ভয়ে আছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আতঙ্কে সফর বাতিলসহ নিজের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানও পেছাতে চাইছেন তিনি।
সম্প্রতি ইসরায়েলের সিজারিয়া শহরে নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা হয়েছে। রাজধানী তেল আবিবের উত্তরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর এ বাসভবনে লেবানন থেকে উড়ে আসা একটি ড্রোন আঘাত হানে। ওই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে আতঙ্কে আছেন নেতানিয়াহু।
আজ সোমবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার নেতানিয়াহু উত্তর ইসরায়েলে ছিলেন। এ দিন লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রায় ১০০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের আরও উত্তরাঞ্চলের শহর মেটুলায় সফরের কথা ছিল নেতানিয়াহুর। তবে তিনি সেখানে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে এলাকাটির একটি সেনা ছাউনিতে ড্রোন হামলা হয়। পরে ভয়ে সফর বাতিল করেন নেতানিয়াহু।
তার আগে সংবাদমাধ্যম কানের বরাতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বহুমুখী যুদ্ধ এবং ড্রোন হুমকির মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে তার ছেলে অ্যাভনারের আসন্ন বিয়ে স্থগিত করতে চাইছেন।
জানা গেছে, আগামী ২৬ নভেম্বর তেল আবিবের উত্তরে শ্যারণ অঞ্চলের রনিত ফার্মে নেতানিয়াহুর ছেলে অ্যাভনারের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি এ বিয়েতে বাধা হতে চলেছেন।
কান জানিয়েছে, নেতানিয়াহু তার সহযোগীদের জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে এ আয়োজন করা হলে তা অংশগ্রহণকারীদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তবে এ বিষয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, গাজায় হামলার পর থেকে অনেকটাই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি তা আরও বেড়েছে। কারণ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর রাতে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলা করে ইসরায়েল। এ সময় রাজধানী তেহরানের কাছে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে তারা।
তবে তেহরানে এই হামলার সময় পাল্টা হামলার আশঙ্কায় বাংকারে লুকিয়ে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
এদিকে ইসরায়েলি হামলার বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, ‘ইরান ও তার মিত্রদের ওপর যে হামলা, উভয়ের জন্যই বদলা নেবে তেহরান।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও জায়নবাদী শাসক—উভয় শত্রুদের জানা উচিত যে তারা অবশ্যই দাঁতভাঙা জবাব পাবে।’