ত্যাগের মহিমায় আজ রবিবার (১০ জুলাই) দেশব্যাপী পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।
‘ঈদুজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এল আবার দুসরা ঈদ! কোরবানী দে, কোরবানী দে, শোন খোদার ফরমান তাগিদ…’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কাব্যসুর আকাশ-বাতাস মন্দ্রিত করে মনপ্রাণ উজালা করে তুলছে ঈদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে।ইসলামের পরিভাষায় কোরবানি হলো নির্দিষ্ট পশুকে একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে তারই নামে জবাই করা।
লোভ, হিংসা ত্যাগ করে, নিজের ভেতরের পশুত্বকে কোরবানি করার ভেতর দিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করাই এই ঈদের মূল তাৎপর্য।
উল্লেখ্য, প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপি মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকে। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য আল্লাহ কোরবানি ফরজ করে দিয়েছেন। এজন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি করাই এ দিনের উত্তম ইবাদত।
আজ পবিত্র ঈদুল আযহার খুশির দিনে আমার পত্রিকার, দেশে বিদেশের অগনিত পাঠক, পত্রিকার পরিবার , বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাঙ্খীদের জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ঈদুল আজহার পবিত্রতা ও উৎসবের আনন্দে মহিমান্বিত হয়ে উঠুক সবার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। মহান আল্লাহ তা’আলার রহমতে আমাদের সবার জীবন হয়ে উঠুক পরিপূর্ণ।
শুভাচ্ছেন্তে দিদার সরদার প্রকাশক ও সম্পাদক – সময়ের কণ্ঠধ্বনি এবং লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব ডিরেক্টর -৩১৫ বি ১ – বাংলাদেশ, ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক(UAHR), পরিচালক ও উপদেষ্টা জাতীয় কবি পরিষদ (জাকপ)। হংকং: ১০-০৭-২০২২ইং