গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ভাটার থানা–পুলিশের ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছবি তুলে ভাইরাল সেই যুবদল নেতা তাহসিন জামান রোমেলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক এমএন ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তাহসিন জামান পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবু জাফরের ছেলে ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ নুরুল ইসলাম নয়নের সিদ্ধান্ত ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিরোজপুর মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব তাহসিন জামান রোমেলকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ব্যক্তির অপকর্মের কোনো দায়দায়িত্ব দল নেবে না এবং যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা কর্মীকে তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট রোমেল নিজেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে ছবি তুলে তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। এর কিছুক্ষণ পরে আবার ছবিটি সরিয়ে নেন, কিন্তু এর মধ্যেই ছবিটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পরে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজধানীর ভাটারা থানায় আগুন দেয়। সেই জ্বলন্ত থানার সামনে প্রকাশ্যে একটি ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছবি তোলেন যুবদল নেতা তাহসিন জামান রোমেল। ছবিটি নিয়ে সারা দেশে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহসিন জামান রোমেল বলেন, ‘আমাকে অন্যায়ভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি ওই অস্ত্রটি রাস্তায় পাওয়ার পর তা সেখানে থাকা সেনাবাহিনীর কাছে জমা দিয়েছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, ‘এতে বোঝা যায়, রোমেল সেখানে ছিল এবং সহিংসতায় অংশ নিয়েছেন। তার এমন কাজে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
তারা আরও বলেন, ‘তার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় তিনি বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এমন কাজ করতে পারেন বলে আমরা ধারণা করছি।’