বরিশালের গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বসাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান মিয়া জানান প্রতিদিনের ন্যায় পহেলা জুলাই বিকেলে আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ মোঃ জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়া সহ পার্টি অফিসে ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে বসেছিলাম। এসময় গৌরনদী উপজেলা সন্ত্রাসী শলীল গুহ পিন্টু এবং সৈয়দ মেহেদী হাসান সুলবের নেতৃত্বে আমাদের উপর পুলিশের উপস্থিতিতে ৩ ককটেল বিস্ফোরণ এবং গুলি চালায়। পহেলা জুলাই সোমবার সন্ধ্যার দিকে এঘটনা ঘটে। ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে শলীল গুহ পিন্টু এবং সৈয়দ মেহেদী হাসান সুলবের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এর পর থেকে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ অবস্থান নিয়েছেন। এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. মাজহারুল ইসলাম জানান ২ জুলাই মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে গৌরনদী উপজেলা বিজয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন মিয়া এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হারিছুর রহমানের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। এটা আমরা জেনে কোন পক্ষই যেন নতুন করে কোন কর্মসূচি উপলক্ষে কোন হামলা বা পাল্টা হামলা না করতে পারে তাই আমরা পুলিশ পাহারায় রয়েছি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের পার্টি অফিসের সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া ককটেলের বিষয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন জানান সকাল পৌনে ১১ টার দিকে গৌরনদী মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. মাজারুল ইসলাম আমাদের খবরদেন যে পার্টি অফিসের সামনে অবিস্ফেরিত একটি ককটেল পাওয়া গেছে খবর পেয়ে অবিস্ফেরিত ককটেলটি নিষ্কৃত করি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জয়নাল আবেদীন জানান গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে সন্ত্রাসী হামলা করে ককটেল বিস্ফোরণ এবং ছাত্রলীগদের উদ্দেশ্য করে গুলি বিস্ফোরণ করেছে তাদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তবে এবিষয় গৌরনদী মডেলা থানায় কোন অভিযোগ পায়নি এমনটাই জনান গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..