আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামে রবিবার গভীর রাতে স্বামী জাহিদ ঘরামীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ তুলে স্ত্রী নাসরিন বেগম স্বামীর লিঙ্গ কর্তন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ জাহিদুল ঘরামীকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মামলার পর পুলিশ নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, দুই বছর আগে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামের কালাম ঘরামীর ছেলে জাহিদ ঘরামীর (২৭) সাথে পটুয়াখালীর রয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামের মজিবর মাদবরের মেয়ে নাসরিন বেগমের (২০) বিয়ে হয়।
তাদের রিফাত নামে ৭ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জাহিদ পেশায় একজন বাস চালক। ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে চলাচলকারী অন্তরা পরিবহনে চাকুরী করেন।
চাকুরীরর কারনে তিনি অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকেন। স্ত্রী নাসরিন বেগমের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্বামী জাহিদ এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় জাহিদুল বাড়ি আসেন। এসময় জাহিদুলের মোবাইলে এক নারী ফোন করে এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।
বাগবিতন্ড শেষে এক পর্যায়ে তারা ঘুমিয়ে পরেন। রাত সাড়ে ৩টার সময় স্ত্রী নাসরিন বেগম ধারালে দা দিয়ে স্বামী জাহিদুলের লিঙ্গ কর্তন করে টয়লেটে ফেলে দেন।
লিঙ্গ কাটার পর আকস্মিক জাহিদুলের ডাক চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে দেখেন জাদিুল রক্তাত্ব অবস্থায় বিছানায় ছটফট করছেন।
এসময় তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘনাস্থল থেকে জাহিদকে উদ্ধার করে স্বজনদের সহযোগিতায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।
তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
জাহিদুলের বিচ্ছিন্ন করা লিঙ্গ সোমবার সকালে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে বাসযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
আমতলী থানা পুলিশ রাতেই স্ত্রী নাসরিনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। এঘটনায় সোমবার দুপুরে জাহিদুলের বাবা কালাম ঘরামী বাদী হয়ে ছেলের স্ত্রী নাসরিনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জাহিদের বাবা কালাম ঘরামী অীভযোগ করে বলেন, আমার ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করে নাই। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ছেলের বউ নাসরিন আমার ছেলের লিঙ্গ কেটে ফেলেছে। লিঙ্গ কাটার পর তা কোথায় ফেলেছে তাও সে স্বীকার পায়নি।
প্রায় ৩ঘন্টা খোজার পর টয়লেট থেকে কাটা অংশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে বাস যোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
স্ত্রী নাসরিন বেগম স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের কথা স্বীকার করে বলেন, সে গোপনে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে করেছে। যে কারনে সে বাড়িতে আসে না এবং আমার কোন খোজ খবর নেয় না। তাই আমি তার লিঙ্গ কেটে ফেলেছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে। একমাত্র আসামী নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।