এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেছেন, এই সরকারের অধীনে আগে একবার নির্বাচন হয়েছিল, আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা বিশ্বাস করে সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম কিন্তু তারা দিনের ভোট রাতেই শেষ করে দিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘এখন তারা ইভিএম-ইভিএম করছে। অর্থাৎ রাতের বেলা সিল মারতে হবে না দিনের বেলা ঘরে বসেই সব ভোট নিয়ে নিতে পারবে। এ রকম মকারির (প্রহসনের) নির্বাচনের মধ্যে আমরা যাব না।’
বুধবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। যুবদলের নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
টুকু বলেন, যতক্ষণ একটি নিরপেক্ষ সরকার না আসবে, বিএনপি তেম কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না। বিএনপি একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন করতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপি দেখিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্র কাকে বলে। বেগম খালেদা জিয়া পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি পরাজয় বরণ করেছিল। এটাকেই বলে আসল গণতন্ত্র। এই সরকারের যদি সৎসাহস থাকে তাহলে তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসুক। আমরা যদি পরাজয় বরণ করি করব। তবে খেলাটা ফেয়ার হতে হবে।
সিইসির চারদিনে ভোট করার প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির নীতিনির্ধারক বলেন, তিনি হাইব্রিড কিনা জানি না, আবার তিনি চার দিনে কেন নির্বাচন করতে চান সেটাও জানি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জন্মের আগে থেকেও আমরা এক দিনেই ভোট করি। চার দিনে ভোট করার মানে হলো ভোটগুলো এনে ডিসি অফিসে রাখা, আর ডিসি অফিসকে কেউ বিশ্বাস করে না। সুতরাং এটি বাংলাদেশে হবে না।
এ সময় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, বর্তমান সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মিল্টন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।