দীর্ঘ ৭০ বছর ভারতের দখলে থাকার পর ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল ও বালিয়াডাঙ্গী বেউরঝাড়িসীমান্তবর্তী ৯১ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উদ্ধার করা জমিতে সাদা পতাকা (নিশানা) টানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ৯১ বিঘা জমিতে প্রবেশের অধিকার ফিরে পাওয়ায় সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। জমিগুলো উদ্ধারে প্রায় ১ মাস আগে কাজ শুরু করে বিজিবি।
বাহিনীটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতের সার্ভে বিভাগের যৌথ জরিপের মাধ্যমে ভারতের দখলে থাকা জগদল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় ১৫ বিঘা জমি এবং বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় ৭৬ বিঘা জমি (মোট ৯১ বিঘা) উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশের অনুকূলে প্রাপ্ত জমির মধ্যে ৭৭ বিঘা আবাদি জমি, ১১ বিঘা চা বাগান ও ৩ বিঘা নদীর চর রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন স্ট্রিপ ম্যাপ পর্যালোচনা করে পূর্ব থেকেই নিশ্চিত ছিল জমিগুলো বাংলাদেশের। পরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জমিগুলো বাংলাদেশের বলে বিজিবির পক্ষ থেকে দাবি এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ও ৭ মার্চ বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ জগদল এবং বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমানা নির্ধারণের লক্ষ্যে যৌথ জরিপ ও পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৬ মার্চ জগদল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ১৫ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায়। অপরদিকে প্রায় ৭ দশমিক ৫ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়। এরপর গত ৭ মার্চ বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ৭৬ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায়। অপরদিকে প্রায় ১৬ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহম্মদ বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারি যে এই জমিগুলো বাংলাদেশের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলি এবং জরিপ করার জন্য আহ্বান জানাই। পরে যৌথ জরিপের মাধ্যমে আমরা এই জমিগুলো পেয়েছি।’