মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে এক ছাত্রীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার ঘটনায় অভিযোগ তদন্তে কমিটি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. টিটো মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এর সদস্য সচিব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামাল হোসেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩–২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন ভুক্তভোগী ছাত্রী হুমায়রা। মন্ত্রী বের হওয়ার সময় তিনি পথরোধ করে জানান তার অভিযোগ। এ সময় কর্মকর্তারা হুমাইরার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার সময় ওই পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন পরীক্ষা কেন্দ্রের একজন পর্যবেক্ষক।
ওই সময় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর আত্মীয়স্বজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওই ছাত্রী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক তারসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হুমাইরা বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। আমার স্বপ্নকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি (পর্যবেক্ষক) আমার খাতা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। আমি এর বিচার চাই।’