এক লাখ ত্রিশ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে দিয়ে আরও একটি বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করে নিল অস্ট্রেলিয়া। দাপটের সঙ্গে টানা দশ ম্যাচ জিতে আসা স্বাগতিক ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছেয়ে ছিল নীল রঙ্গে। এক লাখ বত্রিশ হাজার ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামের ফাঁকা ছিল না একটি কোণাও। ভারত, ভারত.. গর্জনে প্রকম্পিত মাঠটিই একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গেল ভারতের পরাজয়ে।
ভারতের দেয়া ২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসা অস্ট্রেলিয়া বৈতরণী পাড়ি দেয় ট্রাভিস হেড ও মারনাস লাবুশেনের অনবদ্য জুটিতে। চতুর্থ উইকেট দুজন মিলে গড়েন ১৯২ রানের জুটি। বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি।
৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান ও ৩য় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ট্রাভিস হেড। আর ফাইনালে রান তাড়া করতে নেমে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ‘৯৬ আসরে অরবিন্দু ডি সিলভা করেছিলেন প্রথমটি।
ট্রাভিস হেডের ক্যারিয়ারের ৫ম ও সবচেয়ে স্মরণীয় সেঞ্চুরি এটি। ৯৫ বলে মাইলফলক ছোঁন তিনি। জয় থেকে দুই রান দূরে থাকতে আউট হন। ১২০ বলে ১৫টি চার ও ৪টি ছয়ে করেন ১৩৭ রানে। বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্যক্তিগত সংগ্রহের তালিকায় এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ রান।
তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া মারনাস লাবুশেনের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৫৮ রান। ১১০ বলে ৪টি চারে করা তার এই সংগ্রহ গাঁথুনি হিসেবে কাজ করে অজিদের শিরোপা জেতার।