শাবনূরের ঠোঁটে কনকচাঁপার গান; ঢালিউড দর্শকের অন্যতম প্রিয় অধ্যায়। প্রায় তিন দশক ধরে তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন। এই নায়িকা-গায়িকা জুটির কালজয়ী গানের সংখ্যাও অনেক। কিন্তু সময়ের আবর্তনে তারা দুজনেই এখন সিনেমা-গান থেকে দূরে; ব্যক্তিজীবনে ব্যস্ত। শাবনূর বসতি গড়েছেন দূর অস্ট্রেলিয়ায়, আর কনকচাঁপা স্থায়ী হয়েছেন গ্রামের বাড়িতে।
কাজের সুবাদে একসময় নিয়মিত দেখা হতো শাবনূর-কনকচাঁপার। কিন্তু কাজে বিরতি কিংবা নায়িকার দেশ ছাড়ার পর থেকে সাক্ষাতের খরা দেখা দেয়। বহু বছর পর অবশেষে মুখোমুখি হলেন তারা।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন কনকচাঁপা। সেই সুবাদেই শাবনূরের বাসায় অতিথি হয়েছেন, আড্ডা দিয়েছেন প্রাণ খুলে। আনন্দঘন সেই মুহূর্তের কিছু অংশ অনুসারীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন শাবনূর। রবিবার (২০ আগস্ট) সকালে ফেসবুক পেজে লাইভ করে শুনিয়েছেন তাদের অনুভূতি।
শাবনূর বলেন, ‘আমি এই খুশি ধরে রাখতে পারছি না। এত বছরে পরে দেখা, আমি ভাবতেও পারিনি। বাংলাদেশে থাকতেও তার সঙ্গে দেখা হয় না, সে অনেক ব্যস্ত। এখানে অস্ট্রেলিয়া এসে অবশেষে দেখা হয়ে গেলো।
কনকচাঁপা জানালেন, তিনি নিজেও আনন্দে আপ্লুত। তার ভাষ্য, ‘আমি এবং শাবনূর আজ খুবই আনন্দিত। অনেক আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া-আসা হয়। কিন্তু দেখা গেছে, আমি যখন অস্ট্রেলিয়ায় এলাম, তখন শাবনূর বাংলাদেশে। তো এবার অবশেষে সিনক্রোনাইজ হয়েই গেলো। শাবনূর যতটা আনন্দিত, উত্তেজিত, আমারও ঠিক একই অবস্থা। আমার প্লেব্যাকের ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে ৩৫টা বছর শাবনূরের সঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের দুজনকে বলা যায়, দুই দেহ এক প্রাণ। আমার গান শাবনূরের ঠোঁটে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। এর ক্রেডিট অবশ্য আমি শাবনূরকেই দিতে চাই।
এই ফাঁকে সুরেলা কণ্ঠের জন্য কনকচাঁপার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন শাবনূর। সেই সঙ্গে তার ক্যারিয়ারে এতগুলো জনপ্রিয় গান উপহার দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, শাবনূরের ঠোঁটে কনকচাঁপার কয়েকটি জনপ্রিয় গান হলো- ‘এক দিকে পৃথিবী’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘তোমাকে চাই, শুধু তোমাকে চাই’, ‘সাগরের মতোই গভীর’, ‘এক দিন তোমাকে না দেখলে’, ‘আমার হৃদয় একটা আয়না’, ‘এমন একটা দিন নাই’ ইত্যাদি।