শনিবার, ১০:২৩ অপরাহ্ন, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত নির্বাচনী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আ.লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৪৩ বার পঠিত

আগস্ট মাসে শোক দিবসের কর্মসূচি, জুলাইয়ে থাকবে বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি। সেপ্টেম্বরে সারা দেশে গণসংযোগে নামবে আওয়ামী লীগ।

আগামী সেপ্টেম্বর থেকে গণসংযোগে নামবে আওয়ামী লীগ। এই গণসংযোগ কর্মসূচিতে থাকবে মিছিল, সমাবেশ ও শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতে ভোটের আগে সরকারের সাড়ে ১৪ বছরের ‘সাফল্য’ ও ‘অর্জন’ জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।

গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানিয়েছেন।

আগস্ট মাসে শোক দিবসের কর্মসূচিও এই বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে। মাসব্যাপী সারা দেশে আলোচনা সভা, শ্রদ্ধা নিবেদন, শোভাযাত্রা, সেমিনারসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। আর চলতি জুলাইয়ে বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি থাকবে। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে গণসংযোগে নামবে ক্ষমতাসীন দলটি।

এ ছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্র লীগ—এই তিন সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও থানা কমিটি দ্রুত ঘোষণা করার জন্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও এস এম কামাল হোসেন বলেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মাসজুড়ে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আগস্টে শোকের কর্মসূচি আর সেপ্টেম্বরে নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে গণসংযোগ কর্মসূচি থাকবে।

সভায় একটি সহযোগী সংগঠনের দুই নেতার কথা-কাটাকাটিতে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানায়, কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একে অপরের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান। কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুমের বক্তব্য দেওয়া শেষ হলে সভাপতি সমির চন্দ বক্তব্য শুরু করেন। সমির চন্দ বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁর প্রতিটি কথাতেই আপত্তি জানাতে থাকেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম। তাঁরা দুজন সংগঠনের ব্যর্থতার জন্য একে অপরকে দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।

যৌথ সভার শুরুতে গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কখনো বিরোধী দলে গেলে তখনকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানকে ফলো করে। চির জীবন আমরা সরকারে ছিলামও না, অথবা না-ও থাকতে পারি। বিরোধী দলে গেলেও আমরা সংবিধান মেনে চলি।’

ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) যে সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে, তা অত্যন্ত যুক্তিসংগত ও ন্যায়সংগত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে একটি বা দুটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে ওই এক-দুটি কেন্দ্র বন্ধ হতে পারে, কিন্তু গোটা নির্বাচন কেন বন্ধ করতে হবে? এটা অযৌক্তিক, এটা কোন গণতান্ত্রিক দেশে আছে? এ আইনে সে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশে এ রকম হয়। বাংলাদেশে কেন ভিন্ন কিছু করতে হবে।

ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখছে
মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপি এখনো দিবাস্বপ্ন দেখছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন আর তিন-চার মাস বাকি। কার ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে, সে দিকে তাকিয়ে আছে বিএনপি। পত্রপত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি প্রতিনিধিদল আসছে। বিএনপি ভাবছে প্রতিনিধিদল এসেই সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে। তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা এখনো নালিশের মধ্যে নিমগ্ন। নালিশটা পাবলিকের কাছে নয়, নালিশটা বিদেশিদের কাছে।

বিদেশিদের বিষয়ে সরকারের জ্যেষ্ঠ এই মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, তাদের কিছু বলার থাকলে আমাদের কাছে বলতে পারে, সেটা বন্ধুসুলভ আচরণ। এখানে কোনো প্রভুত্বের কিছু নেই। বিএনপি প্রভুদের কাছে নালিশ করে, বন্ধুদের কাছে নালিশ করে না। সব পরামর্শ আমাদের গ্রহণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।’

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী; সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। এ ছাড়া যৌথ সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com