শুক্রবার, ০৫:১৬ অপরাহ্ন, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদী হাসে ধান খাওয়া কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ২ গৌরনদী প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে ধানের শীষের প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের শুভেচ্ছা বিনিময আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসিল্যান্ডের সাথে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন মতবিনিময় সভা র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুন পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা ১৬ নভেম্বর এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ কালমেগির আঘাতে ফিলিপাইনে ১১৪ জনের মৃত্যু, এগোচ্ছে ভিয়েতনামের দিকে বিপিএলের দলগুলোর নাম জানাল বিসিবি ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪

লোকজন সারাক্ষণ তাকিয়ে মোবাইলের দিকে, এমন হবে ভাবিনি! ক্ষোভ আবিষ্কারকের

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩
  • ১৩৪ বার পঠিত

‘লোকজন সারা দিন ফোনের দিকে তাকিয়ে। এমন হবে ভাবিনি!’— বলছেন খোদ এই যন্ত্রের আবিষ্কারকই। ৫০ বছর আগে মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেছিলেন আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার। এখন এই যন্ত্রের প্রতি মানুষের মোহ ও মায়া দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। তার বক্তব্য, পকেটের ভিতরে থাকা ছোট্ট যন্ত্রটা বহু মুশকিল আসান করে দিতে পারে ঠিকই, কিন্তু মানুষ একটু বেশি মাত্রায় মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে!

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার ডেল মারেতে নিজের দফতরে বসে একটি সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৯৪ বছর বয়সি কুপার বলেন, ‘মন ভেঙে যায়, যখন দেখি কেউ মোবাইল ফোন দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন। কিছু মানুষ মারা না গেলে কারো বোধ আসবে না।’ সে-ও কী হয়নি! হয়েছে। তার পরও যন্ত্রমুগ্ধ মানুষ আবিষ্ট হয়ে রয়েছে মোবাইল ফোন ও তার ভার্চুয়াল জগতে।

কুপারের নিজের হাতেও অ্যাপলের ঘড়ি। ব্যবহার করেন আইফোনের নবতম সংস্করণটি। এ বিষয়ে বেশ শৌখিন কুপার। জানালেন, নতুন সংস্করণ এলেই তিনি মোবাইল ফোন বদলান। তবে একইসাথে তিনি স্বীকার করেছেন, ফোনে হাজার হাজার অ্যাপ রয়েছে, যার বেশির ভাগের ব্যবহার তিনি জানেন না।
কুপারের কথায়, ‘আমার নাতিনাতনিরা বা তাদের ছেলেমেয়েরা যেভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, আমি কোনো দিন পারব না।’ জানিয়েছেন, ফোন তিনি বেশিটাই ব্যবহার করেন কথা বলার জন্য। কুপার এ-ও বলেন, ‘আজ যে মোবাইল ফোনের জাদুতে মজে রয়েছে মানুষ, তা-ও এক সময় থাকবে না। প্রতিটি প্রজন্ম আরো বুদ্ধি ধরবে, প্রযুক্তি আরো অনেক উন্নত হবে।’ সত্যিই তো তাই। ৫০ বছর আগে যে যন্ত্র তিনি আবিষ্কার করেছিলেন, সেটাই কী আর আগের মতো আছে!

কুপার প্রথম মোবাইল ফোনটি তৈরি করেছিলেন ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল। সেই ফোন ছিল বেশ ভারী, অনেক তারে প্যাঁচানো এক জটিল বস্তু। সে সময়ে তিনি একটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন। লক্ষ লক্ষ ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ওই সংস্থা। বাজারে প্রতিযোগিতাও দারুণ। পুরোপরি টক্কর চলছে, কে প্রথম মোবাইল ফোন আনবে। কারণ মোবাইল ফোন তৈরির পরিকল্পনা মানুষের মাথায় এসেছিল অনেক দিন আগেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের পরপরই প্রথম বিষয়টা নিয়ে ভাবা শুরু হয়েছিল। ১৯৬০-এর দশকে গাড়িতে ফোন রাখার ব্যবস্থা করে একটি সংস্থা। কিন্তু সেই আবিষ্কার খুব বেশি সফল হয়নি। গাড়িতে বিশালাকার ব্যাটারি রাখতে হত তার জন্য। সার্বিক ভাবে বিষয়টা বেশ ঝামেলার। কুপারের মনে হয়েছিল, এতে আসল কার্যসাধন হয়নি। লোকজনের সঙ্গে সবসময় তাদের নিজস্ব ফোন থাকছে না।

১৯৭২ সালের শেষে কুপার ঠিক করেন, তিনি এমন একটা যন্ত্র তৈরি করবেন, যা কোনো ব্যক্তি সবসময় নিজের সঙ্গে রাখতে পারবেন। যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। টানা তিন মাস দিনরাত এক করে গবেষণা করেন কুপার ও তার বিশেষজ্ঞ দল। পরের বছর মার্চ মাসের শেষে সমাধান মেলে।
কুপারের তৈরি করা প্রথম মোবাইল ফোনটির ওজন ছিল ১ কিলোগ্রামেরও বেশি। সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট কথা বলা যেত। সেই ২৫ মিনিট হাতে নিয়েই কুপার প্রথম ফোনটি করেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার অফিসে। বলেছিলেন, ‘আমি মার্টিন কুপার বলছি। আমি একটা হাতেধরা সেল ফোনে কথা বলছি। একটা সত্যিকারে সেল ফোন, ব্যক্তিগত, এক জায়গা থেকে অন্যত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, হাতে ধরা যায়।’ ও পারে তখন অপার নিস্তব্ধতা!
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com