বরিশাল নগরীতে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে ৫ হাজার হলুদ ইজিবাইককে অনুমতি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। রোববার প্রথম পর্যায়ে ৩০ জন হলুদ অটো বা অযান্ত্রিক ইজিবাইক চালকের কাছে ব্লু বুক ও পোশাক হস্তান্তর করা হয়েছে। বরিশাল নগরীতে পুনরায় ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দেয়া শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। ঈদের আগের নগরীতে ৫ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমোদন দেয়া হবে। তবে প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো চালকই ইজিবাইক নিয়ে সড়কে নামতে পারবেন না। এজন্য চালকরা পাবেন আলাদা পোশাক।
বরিশাল নগরীতে সাবেক সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মেয়াদকালে ২৬শ’ ইজিবাইক চলাচলের অনুমোদন দেয়া হয়েছিলে। পরবর্তী মেয়র আহসান হাবিব কামাল ও সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এই হলুদ রঙের ইজিবাইকগুলোর লাইসেন্স নবায়ন না করায় নগরীতে অবৈধ হিসেবে গণ্য হয় চার যাত্রী বহনকারী ব্যাটারিচালিত এই তিন চাকার ইজিবাইক।
অনুমোদন না থাকায় কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে বরিশাল নগরীতে ইজিবাইকের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এতে নগরীতে যানজট বেড়ে যায়। নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্কশপে তৈরি এসব বাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশও বার বার পদক্ষেপ নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
এ অবস্থায় বরিশাল নগরীতে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে ৫ হাজার হলুদ ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। রোববার প্রথম পর্যায়ে ৩০ জন হলুদ অটো বা অযান্ত্রিক ইজিবাইক চালকের কাছে ব্লু বুক ও পোশাক হস্তান্তর করা হয়েছে ওয়াপদা কলেইন সংলগ্ন স্থানে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কাউকে চাঁদা দেয়া থেকে বিরত থাকতেও ইজিবাইক চালকদের নির্দেশ দেন মেয়র।
শিশুদের চালক হিসেবে না রাখাসহ মহাসড়কে এই ইজিবাইক না চালানোন জন্য অনুরোধ করেছেন মহানগর পুলিশ প্রধান সাইফুল ইসলাম।
এদিকে এই মুহূর্তে বরিশাল নগরীতে ইজিবাইক চলাচলে লাইসেন্স দেয়াকে নির্বাচনী কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে। এই ইজিবাইক ইস্যুতে বাসদ বরিশালের সদস্য সচিব মনীষা চক্রবর্তী ও মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এ নিয়ে তাদেরকে একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা বক্তব্য দিতেও দেখা গেছে। মনীষার দাবি, ইজিবাইক-অটোচালক ও মালিকদের ভোট বাগাতে মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সাদিক আব্দুল্লাহ এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।