বরিশালের গৌরনদীতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাহামুদুল হক মিলনসহ স্থানীয় ছাত্রদলের ৭ নেতা-কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলার পর হামলাকারীরা উল্টো ছাত্রদল নেতা মিলন ও আল আমিনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান খান মুকুল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান খান মুকুল মুঠোফোনে জানান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক মিলন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা সদরের দক্ষিণ পালরদী এলাকায় নিজের বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে বসে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল আমিন মোল্লা, ছাত্রদল কর্মী ইয়াসিন ফকিরসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে গল্প করছিলেন।
এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা সেখানে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ছাত্রদল নেতা মিলন, ইয়াসিন ফকির ও সোহান আহত হয়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রলীগ কর্মীরা থানা পুলিশকে খবর দিয়ে ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হক মিলনকে তাদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি আরও জানান, এদিন রাত ৮টার দিকে উপজেলা সদরের গৌরনদী আল হেলার একাডেমির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেও স্থানীয় ছাত্রদল নেতা আল আমিন সরদার, সুনান শরীফ, রাসেল হোসেনের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এরপর সেখান থেকে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা আল আমিন সরদারকে মারধর করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা।
থানা পুলিশ ওই দুই ছাত্রদল নেতাকে একটি পুরনো বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বলে জানান মিজানুর রহমান খান মুকুল।
এদিকে বিএনপি নেতার এমন অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভূইয়া বলেন, আমার জানামতে এরকম কোনো ঘটনাই ঘটে নি। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্রলীগের উপর দায় চাপাচ্ছে। আমরা সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না। মারামারির রাজনীতি করি না। এটা করে তারা।
এছাড়া বিএনপি নেতার অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বার্থী ইউনিয়নের একটি বিস্ফোরক মামলার অভিযুক্ত আসামি হিসেবে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছে।