ক্যানসারের চিকিৎসা না করলে এটি একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় ক্যানসার ছড়ানো প্রতিরোধে বেশ আশাপ্রদায়ক ফল পাওয়া গেছে।
ইসরাইলি গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত ও ক্যানসার রিসার্চে প্রকাশিত গবেষণাটি বলছে, এক ধরনের অ্যারোবিক ব্যায়াম মেটাস্টেটিক ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। ক্যানসার কোষ শরীরের অন্যান্য অংশেও পড়লে তাকে মেটাস্টেটিক ক্যানসার বলে। অনেক ক্যানসারের ক্ষেত্রে মেটাস্টেটিক ক্যানসারকে স্টেজ ফোর ক্যানসারও বলা হয়।
ইউনিভার্সিটি অব তেল আবিবের বায়োকেমিস্টরা ২৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সি ২৭০০ ইসরাইলি পুরুষ ও নারীর ২০ বছরের উপাত্ত বিশ্লেষণ করেন। গবেষকরা দেখেছেন- যারা নিয়মিত হাই ইনটেনসিটি অ্যারোবিক এক্সারসাইজ (যেমন: দৌঁড়ানো, ফিটনেস নাচ, সাঁতার কাটা, ঘণ্টায় ১০ মাইল বা আরও বেশি গতিতে সাইকেল চালানো, দড়ি লাফ) করেছেন তাদের ক্যানসার তেমন একটা ছড়ায়নি।
সাধারণত ক্যানসারযুক্ত কোষ গ্লুকোজ/সুগার (শর্করা) খেয়ে অন্যস্থানেও ছড়ানোর শক্তি পায়। তাই শরীর থেকে শর্করা কমালে ক্যানসার ছড়ানোর ঝুঁকিও কমে। ব্যায়াম করলে শরীর শক্তি পেতে শর্করা শেষ করে, যার ফলে টিউমার ছড়ানোর জন্য তেমন শক্তি পায় না।
গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য ডা. ম্যাকক্লেন বলেন, ‘ব্যায়াম ক্যানসারের বিকাশ, বৃদ্ধি ও ছড়ানো প্রতিরোধ করতে পারে। ব্যায়াম করলে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি গ্রহণ প্রতিযোগিতায় সুস্থ কোষের কাছে ক্যানসারযুক্ত কোষ পরাস্ত হয়।’
গবেষকদের মতে, ‘যেকোনো ব্যায়াম যা ৯০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ ম্যাক্সিমাল হার্ট রেট আনতে পারে তাকে হাই ইনটেনসিটি এক্সারসাইজ বিবেচনা করা যাবে।’ বয়স, স্বাস্থ্য অবস্থা ও ফিটনেস বিবেচনায় প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হাই ইনটেনসিটি অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করতে পারেন।