বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যায় এখনো কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হত্যার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও মোটিভ সম্পর্কে এখনো অনিশ্চিত পুলিশ। এছাড়া হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, মাদক কিনতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নিহত হয়েছেন- এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য নেই। কে বা কারা কেন তাকে খুন করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, পুরো বিষয়টি উদ্ঘাটন শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। এসময় পরশ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘ফারদিনের মোবাইলের ডাটা এনালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় সে যার সাথে কথা বলেছে সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে ঢাকা শহরের কোনো এক জায়াগায় খুন হতে পারে। মোবাইলের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে কংক্রিট কিছু বলতে পারছি না।’
হারুন অর রশিদ জানান, ‘বুশরাসহ আরো কয়েকজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। হত্যাকাণ্ডের পেছনের ঘটনা এবং রহস্য উন্মোচনে ডিবি কাজ করছে। এমন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এদিকে, মাদকের সাথে ফারদিনের সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ উঠেছে তা উড়িয়ে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, ফারদিন মাদকের সাথে কখনোই সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি খুবই মেধাবী ছিলেন।
ফারদিন নূর পরশ হত্যায় গ্রেফতার হওয়া তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তার কাছ থেকেও হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট সুস্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো মেলেনি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে বর্তমানে শত্রুতাবশত, ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনে যাওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যা, রাজনৈতিক বিদ্বেষ ও প্রেমঘটিত কারণসহ আরো কিছু বিষয় সামনে এনে তদন্ত চলছে।
এছাড়া পেশাদার মাদক কারবারিদের হাতে ফারদিন খুন হতে পারেন এমন সন্দেহও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। প্রযুক্তিগত তদন্ত ও সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।