খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম রচিত, নির্দেশিত এবং অভিনীত নাটক মঞ্চায়ন হয় গত ১৯নভেম্বর খিলগাঁ থানার ৭৫ নং ওয়ার্ডের বালুরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। সুষম নাট্য সম্প্রদায় প্রযোজিত নাটকটির নাম ‘সাধু সমাবেশ’ ।
শিল্পকলা একাডেমি থেকে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ভার্চুয়ালি নাটকটির প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। সবমিলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নাট্যজীবন অনেক সমৃদ্ধ। বিগত সময়ের মত জীবনের বাকিটা সময়ও মঞ্চ নাটক বা থিয়েটারের জন্যই দিতে চান। থিয়েটারকে ভালবেসেই এই অঙ্গনেই থাকতে চান আজীবন। গুণী নাট্য ব্যক্তিত্ব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম তার একনিষ্ঠ সাধনার মাধ্যমে এগিয়ে যাবেন তার কাংখিত লক্ষে সেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের । নাট্যসমৃদ্ধ এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা । বাংলাদেশের বরেন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বহু গুণের অধিকারী প্রবীন এই ব্যক্তিত্ব তার মেধা মনন দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। দেশের সংষ্কৃতি অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় বিশেষ সম্মানা বা এাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আরও একটি সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
জানা গেছে ‘বাংলার ঋতুবরণ পরিষদ সম্মাননা’য় ভূষিত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন নাট্যজন চন্দন রেজা, ‘বাংলার ঋতুবরণ পরিষদের অন্যতম কর্নধার ফয়সাল আহমেদসহ অন্যান্য অতিথিরা। এ সম্মাননায় ভূষিত হওয়ায় নাট্য অঙ্গনের মানুষরা খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সাংস্কৃতিক ক্যারিয়ার অনেক সমৃদ্ধ। তিনি একাধারে নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা ও সংগঠক। জন্ম ঢাকায় ১৯৫৩ সালে। পুরাতন ঢাকার নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,সোহরাওয়ার্দী, কলেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে নজরুল সঙ্গীতের উপর ৫ বছরের সার্টিফিকেট কোর্স, (IVA) ইনিষ্টিউট অব ভিজিয়াল থেকে একটি ৬ মাসের কোর্স করেছেন। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের নাট্য চর্চা শুরু হয়েছিল দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সাল থেকে, এলাকার বড় ভাইদের সাথে বাৎসরিক নাটকে, তারপর বিভিন্ন সংগঠনের সাথে পুরাতন ঢাকার বিভিন্ন মিলনায়তনে। পরবর্তীতে যোগ দিয়েছিলাম শাঁখারীবাজারের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সাথে। শুরু হল গ্রুপ থিয়েটার চর্চা।
এরপর লোকনাট্য দলে (লিয়াকত আলী লাকীর) কিছুদিন কাজ করেছেন । তবে দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ততার কারণে সেই দল থেকে ফিরে আসতে হয়। তারপর নিজের গ্রাম ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় কিছু যুবক ছেলে মেয়েদের নিয়ে গঠন করেন সুষম নাট্য সম্প্রদায়। হাজার ১৯৯০ সালের জুন মাসের ৩০ তারিখে। প্রথম যোগ দেন ডাকসু আয়োজিত পথনাটক উৎসব ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে তারপর নিয়মিত নাট্যচর্চা শুরু হলো মহিলা সমিতি, গাইড হাউস সহ বিভিন্ন মিলনায়তনে, চলতে চলতে এখানে এসে পৌছেছেন। দলের ১৫টি প্রযোজনার সবকয়টি নাটক তার লেখা এবং নির্দেশনা। তারপর নিজের গ্রাম ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যায় কিছু যুবক ছেলে মেয়েদের নিয়ে গঠন করেন সুষম নাট্য সম্প্রদায় ১৯৯০ সালের ৩০ জুন । ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ডাকসু আয়োজিত পথনাটক উৎসবে যোগ দেন। তারপর নিয়মিত নাট্যচর্চা শুরু হলো মহিলা সমিতি, গাইড হাউস সহ বিভিন্ন মিলনায়তনে অসংখ্য নাটকে অভিনয়, চলতে চলতে এখানে এসে পৌছেছেন। দলের ১৫ টি প্রযোজনার সবকয়টি নাটক তার লেখা এবং নির্দেশনা হয়েছে। বর্তমানে সাধু সমাবেশ নামে একটি নাটকের কাজ চলছে অল্পদিনের মধ্যে নাটকটি মঞ্চে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের লেখা উল্লেখযোগ্য নাটক শহরে নতুন’, গুণধর’, `প্ল্যাটফর্ম’, ইতিহাসের কলঙ্ক’,`কে ময়নার খুনি’, “শেয়ালের বাম’,আহল্লাদীর জন্মোৎসব’, গয়না’,নিখোঁজ মহাজন সন্ধানে’,`মৃগতৃষ্ণা’, প্রভৃতি।তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভূক্ত একজন নাট্যকার এবং অভিনয়শিল্পী। তিন সন্তানের জনক এক ছেলে দুই মেয়ে। বড় ছেলে খন্দকার সাইফুল ইসলাম, ইংল্যান্ডের নর্থ ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে সাউন্ড এন্ড ব্রডকাস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বর্তমানে বার্মিংহামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। ছোট মেয়ে শামিমা নাসরীন। বিটিভির প্রথম শ্রেণীর একজন তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী। এদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির।