মরুর বুকে রাতের আঁধার চিরে জ্যোতির জ্যোতিতে আলোকিত আরব সাগর পাড়। যে আলোর রোশনাইয়ে আলোকিত হয়েছে হাজার মাইল দূরের ছোট্ট এই ব-দ্বীপও। ফলে ঠোঁটের কোণে হাসি নিয়ে, সুখের আবেশ মেখেই হারাতে পারেন ঘুমের রাজ্যে। বুঝেননি, সহজ করে দিই তবে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশের বাঘিনীরা। যেখানে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি রেখেছেন আগ্রাসী ভূমিকা।
রোববার শেখ আবু জায়েস স্টেডিয়ামে বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগ্রীস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যাোতি। যদিও প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগেই অধিনায়ক হারিয়েছেন দলের দুই দীপ্তি, হঠাৎ চোট আর করোনার আঘাতে দল ছেড়েছেন জাহানারা আলম ও ফারজানা হক পিংকি।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৮ রানে মুর্শিদা খাতুনের উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ রানের জুটি গড়েন দুই সুলতানা। দলীয় ১৪.৩ ওভারে ৪০ বলে ৪৮ রান করে শামিমা সুলতানা সাজঘরে ফিরলেও অর্ধশতক তুলে নেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ইনিংসের শেষ বলে আউট হবার আগে ১০টি চার আর একটি ছক্কায় ৫৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি৷ দুই সুলতানার ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
১৪৪ রানের লক্ষ্য জয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেকে আইরিশ নারীরা। তবে এমি হান্টার ও অধিনায়ক ডিলানির ৪৫ রানের জুটিতে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে তারা। তবে পরের গল্পটা শুধুই বাঙালী স্পিনার ত্রয়ীর। দলীয় ৫০ রানে এমি ফেরেন সালমার রান আউটের শিকার হয়ে। অধিনায়ক ডিলানিও ফিরেছেন সালমার ঘূর্ণিতে খাবি খেয়ে।
এরিটা রিচার্ডসন ২৬ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে যখন ভয়ংকর হয়ে উঠছেন, তখন তিনিও ফিরেছেন রান আউটেরই ফাঁদে পড়ে। শেষ ৬ ব্যাটারের কেউ দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। ফলে ১৪ রানের জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে তিনটা উইকেট নেন সালমা খাতুন। ২টি করে উইকেট নাহিদা আর মেঘলার। ম্যাচ সেরা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
এই জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেন এক পা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ। আগামীকাল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একই মাঠে খেলতে নামবে জ্যোতি বাহিনী। পরের ম্যাচ ২১ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাত নারী দলের বিপক্ষে।