স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরো বেশি শক্তিশালী করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। এজন্য আশা করা যাচ্ছে, শিগগিরই সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, আরাকানের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে রয়েছে। এখন শুনছি, আরাকান আর্মি নামের আরেকটা গোষ্ঠীর সাথে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোলাগুলি হচ্ছে। তাদের যখন অ্যাটাক করতে যাচ্ছে, তখন কিছু গোলা আমাদের এখানে এসে পড়ছে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহীতে ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উদ্বোধনের পর তিনি জাদুঘরটি ঘুরে দেখেন।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজশাহীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেনো তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সরকারি চাকরি করলেও তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
আসাদুজ্জামান খান আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী অঞ্চলে শতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। তাদের বীরত্বগাঁথা ও দেশপ্রেমের স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হলো। এর মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। তাদের অবদান কখনো ভুলবে না বাংলাদেশ।
রাজশাহী পুলিশ লাইন্স গেট সংলগ্ন স্থানে জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পুলিশ লাইন্সেই মাদক ও উগ্রবাদ বিরোধী এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং শহীদ পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেন।
এতে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: আখতার হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন।