জেতেনি কেউ, হারেনি কেউ, কাঁদেনি কেউ, হেসেছে সবে। কোনো দল জয় না পেলেও মানবতার জয় হয়েছে। ১৯৮৮-১৯৯০ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে খেলা বার্সেলোনার সাবেক গোলকিপার ও কোচ জুয়ান কার্লোসের জন্য এ প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা হয়। এ ম্যাচ থেকে আয় করা পুরো অর্থ দেয়া হবে কার্লোসের দুরারোগ্য চিকিৎসার গবেষণার কাজে।
দারুণ সব নাটকীয়তা আর রোমাঞ্চে গুরু-শিষ্যের লড়াই ৩-৩ সমতায় শেষ হয়েছে। যদিও প্রীতি ম্যাচ, তবুও লড়াইটা যখন শীর্ষ দুই ক্লাবের, তখন উত্তেজনা তো ছড়াবেই। মাঠের বাহিরের উত্তেজনা, ভেতরেও ছুঁয়ে গেছে। সমানে সমান লড়াইয়ে দুটো দলই হেসেছে। গুরু গার্ডিওলার ম্যানসিটির বিপক্ষে শিষ্য জাভির দল নেমেছিল মাঠে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মুখর ছিল ম্যাচের উত্তাপে।
বুধবার রাতে বার্সার ঘরের ক্যাম্প ন্যুতে প্রথমে এগিয়ে যায় সফরকারী দল। ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় সিটির ‘নিউ বয়’ জুলিয়ান আলভারেজ গোল করে ম্যান সিটিকে ১-০ লিড এনে দেন। তবে সমতায় ফিরতে বার্সার সময় লাগল মাত্র ৮ মিনিট। ম্যাচের ২৯ মিনিটে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান পিয়েরে-এমেরিক আউবামিয়াং। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ সমতায়।
তবে রোমাঞ্চকর দ্বিতীয়ার্ধে চারটি গোল হয়, দুদলই সমান দুটি করে গোল করে। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বার্সাকে গোল করে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। অবশ্য মিনিট চারেক পরই আবারো ম্যাচে ম্যানসিটিকে সমতায় আনেন কোল পামার।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে বার্সেলোনার মেম্ফিস ডিপাই গোল করে দলকে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন। তবে যখন ভাবা হচ্ছিল জয়ের পথেই রয়েছে স্বাগতিক বার্সেলোনা, ঠিক তখনই বার্সার জয় ছিনিয়ে নেন রিয়াদ মাহরেজ। ম্যাচের শুরু থেকেই খেলা মাহরেজ ৯৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ৩-৩ স্কোর লাইন করেন আলজেরিয়ার এ উইঙ্গার। আর ওই পেনাল্টির পরই রেফারি ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজান। তবে চ্যারিটি ম্যাচ হওয়ায় রেজাল্টে কোনো প্রভাব পড়েনি দুই দলেরই।
এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো বার্সার জার্সি গায়ে মাঠে নামেন ফরাসি ডিফেন্ডার জুলেস কুন্দে। প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় দুদলের কোচ মূল একাদশের খেলোয়াড়দের বাইরে রেখে একাদশ সাজিয়েছেন। দলের অনিয়মিত খেলোয়াড়দের মাঠে নামিয়ে ঝালাই করে নেন দুদলের কোচই।