আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ে বসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগীয় ২০টি নির্বাচনি এলাকার ৬০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডাকা হয়েছে রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে রবিবার বিকাল ৪টায় গুলশান কার্যালয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকের পরই শুরু হবে চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের “সবুজ সংকেত” দেওয়ার প্রক্রিয়া। দক্ষিণাঞ্চলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সেই সংকেত পাবেন বলে জানা গেছে। তবে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন থেকে কাউকেই এবার ডাকা হয়নি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় পর্যায়ে মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা ও এক নেতার অনড় অবস্থানের কারণে ওই আসনের প্রার্থীরা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বিষয়টি সরাসরি দলের হাইকমান্ড নিষ্পত্তি করবে বলে জানা গেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, এবার মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে তারেক রহমান নিজে মনিটর করছেন। মাঠপর্যায়ের রিপোর্ট, সাংগঠনিক টিমের সুপারিশ ও পূর্বের আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাই আগের মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের তদবিরে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে দুপুর ৩টার মধ্যেই। গুলশান অফিস থেকে ১ কিলোমিটার দূরে গাড়ি রেখে বাকিটা পথ হেঁটে বা অন্য বাহনে গিয়ে যোগ দিতে হবে—যানজট ও ভিড় এড়াতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) থেকে ডাকা হয়েছে জহির উদ্দিন স্বপন, আকন কুদ্দুসুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান ও অ্যাড. কামরুল ইসলাম সজলকে। বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) থেকে সরফুদ্দিন সান্টু, কাজী দুলাল হোসেন, রওনাকুল ইসলাম টিপু ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) থেকে রাজীব আহসান, মেসবাহউদ্দিন ফরহাদ, অ্যাড. হেলালউদ্দিন ও আব্দুল খালেক হাওলাদার। বরিশাল-৫ (সদর) থেকে মজিবর রহমান সরোয়ার, আবু নাসের রহমতউল্লাহ, এবায়েদুল হক চাঁন ও মনিরুজ্জামান ফারুক। বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) থেকে আবুল হোসেন খান ও নজরুল ইসলাম খান রাজনকে ডাকা হয়েছে। ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন আসন থেকেও একাধিক প্রার্থী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন “এই বৈঠকটি একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ। বিএনপির মতো বড় দলে প্রতিটি আসনেই যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়ন চাওয়াটা স্বাভাবিক, কিন্তু চূড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণ হবে দলের নীতিমালা ও মাঠের শক্তির ওপর ভিত্তি করে। এমপি হওয়া বড় কথা নয়—আমাদের মূল লক্ষ্য ধানের শীষের বিজয়।” দলীয় সূত্রের তথ্যমতে, বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে ২০টিতে মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। চলতি মাসের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরুতেই প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে