চট্টগ্রামের রাউজানে তেলপারই খালের ওপর সাড়ে তিন কোটি টাকায় নির্মিত সেতুতে বসানো হয়েছে কাঠের পাঠাতন। এতে ঝুঁকি নিয়ে চালাচল করছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল।
উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নদীমপুর এলাকার তেলপারই খালের ওপর নির্মিত হয়েছে এই সেতু। তবে সেতুর পশ্চিমাংশে সংযোগ সড়কের গোড়ালী থেকে মাটি ধসে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সেতুর ওপর দিয়ে রাতদিন গন্তব্যে যাতায়ত করেন রাউজান, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার হাজারো মানুষ। যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেটে চলাচলেরও উপযোগী না হওয়ায় স্থানীয়দের উদ্যোগে ধসে যাওয়া স্থানে কাঠের পাটাতন বসানো হয়।সেতুর গোড়ালিতে পাথরের ব্লক না বসানোসহ নিম্নমানের কাজের জন্য সেতুটির এমন অবস্থা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকায় নির্মিত সেতুটি গত ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেতুর দুপাশে যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, যদি ভারি বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল কিংবা বন্যার সৃষ্টি হলে সেতুটি ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়বে।
নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন এম সরোয়ার্দী সিকদার বলেন, সেতুর সংযুক্ত রাস্তাটি পুনরুদ্ধারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে ধর্ণা দিয়ে আসছেন তিনি। ইতিপূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে জেলা থেকে প্রকৌশলীরা এসে পরিদর্শনও করে গেছেন। মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে রাজনৈতিক সহকর্মী হাসান উর রশিদ চৌধুরীর সহায়তায় ধসে যাওয়া স্থানে কাঠের পাটাতন বসিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন প্রকৌশলীরা সেতুটির অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন। এর আগে ধসে যাওয়া সেতুর এপ্রোচ মেরামতের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।