শনিবার, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

রাজাপুরে তরমুজ চাষে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৭ বার পঠিত

ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীর চর এলাকাজুড়ে প্রায় ১২০ বিঘা (১ বিঘা সমান ৬২ শতাংশ) জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। দামও ভালো পাচ্ছেন ভালো বলে জানান তারা। তরমুজ চাষি নুরুল হক, জলিল মোল্লা, কাঞ্চন মোল্লা ও সেফাতেসহ একাধিক কৃষক জানান, তিন মাস আগে উপজেলার পূর্ব প্রান্তে বিষখালি নদীর চর এলাকাজুড়ে তারা ২০ জন কৃষক মিলে ১২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেন। এ বছর আদৌ বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তারপরও সেচ পাম্পের দ্বারা পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে শ্রমিক, কীটনাশক ও সেচ খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে যে ফলন হয়েছে তাতে এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে বলে তারা আশা করছেন।

এদিকে চাষি নুরুল হক জানান, তরমুজ বিক্রির সময় হওয়ায় তারা রাজাপুরের হাটবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সবাইকে ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে নিতে বললেও তারা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে যাননি। কারণ তারা কৃষকদের জিম্মি করে খুব সস্তায় তরমুজ কেনার আশায় বসেছিলেন। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় কয়েকজন কৃষক মিলে গাড়ি ভাড়া করে তরমুজ ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন। ঢাকায় প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি তরমুজ ৪ থেকে ৮ কেজি ওজনের হয়েছে। কোনো কোনো তরমুজ এর চেয়েও বেশি ওজন হচ্ছে। এতে কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন। এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভালো দাম না দিলে কৃষকরা এলাকায় তরমুজ বিক্রি করবেন না বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, এ বছর উপজেলায় মোট ৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ উপজেলায় এক হাজার থেকে এক হাজার ১৫০ টন তরমুজ উৎপাদন হবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com