নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার হাত থেকে বাঁচতে থানায় জিডি করেছেন যুবলীগ নেতা।
সোমবার বিকালে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাসের (৬৮) বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন কলমাকান্দা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস।
চন্দন বিশাস ও পলাশ কান্তি বিশ্বাস সম্পর্কে তারা দুজনে একই গোষ্ঠীর ভাই এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমি আমার আসনের এমপির রাজনীতি করে থাকি। বন্যায় দুর্গতদের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমপির নামের ত্রাণ বরাদ্দ আসে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস তা গ্রহণ করতে চাইলে আমি এমপির পক্ষে তা বাধা দিই।
এ কারণে তিনি (চন্দন বিশ্বাস) গত রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয়ের সামনের রাস্তায় আমাকে পেয়ে ‘গুলি করে খুন করে গুম করবেন’ বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এ সময় মারমুখী হলে উপস্থিত লোকজন মারপিঠের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করেন।
এর আগেও দলীয় অফিসে তিনি (চন্দন বিশ্বাস) একাধিকবার মানুষকে গুলি করে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন বলে জানান যুবলীগের ওই নেতা।
এ ব্যাপারে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস জানান, তারে (পলাশ কান্তি বিশ্বাস) আমি কেন গুলি করতে যাব। বাটপারি করতে-করতে আর জায়গা পায় না। মিথ্যা ও বানোয়াট। সে কি মানুষটা, তারে গুলি করে আমার কি লাভ হবে। চড়-থাপ্পড় খাইতে পারে।
কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, নিয়মানুযায়ী জিডি গ্রহণ করে তা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে তদন্ত করা হবে।