বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় লোডশেডিং এর মাধ্যমে সরকার এই ঘাটতি সমন্বয়ের চেষ্টা করছে। নতুন কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে এ বছরের শেষ নাগাদ ঘাটতি পূরণের আশা করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়াকে এর প্রধান কারণ হিসাবে দেখিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সেইসাথে দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়াকেও অন্যতম কারণ হিসাবে বলা হয়েছে।
যদিও কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার মেগাওয়াট। যদিও বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু জ্বালানি সংকটে সেটাও যোগান দিতে পারছে না দেশের বিদ্যুৎ খাত।
আমদানি নির্ভর বিদ্যুৎ খাত
যদিও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতার কথা জোরেশোরে বলা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে, উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে, কিন্তু এখনো দেশটির উৎপাদন ক্ষমতার বড় একটি অংশ নির্ভর করছে আমদানি করা জ্বালানির ওপরে।
কারণ এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা তেল, কয়লা বা গ্যাসের একটি বড় অংশ আমদানি করতে হয়।
সরকারের সর্বশেষ মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যস্থির করা হয়েছে, তাতে গ্যাসে ৩৫ শতাংশ, কয়লায় ৩৫ শতাংশ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। বাকী ত্রিশ শতাংশ তেল, জলবিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত ক্যাপটিভ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সক্ষমতা থাকলেও গড় উৎপাদন হচ্ছে নয় হাজার মেগাওয়াট। এখন পর্যন্ত একদিনে (১৪ এপ্রিল) সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। কিন্তু জ্বালানি সংকটে সেটা ১১ হাজারে নেমে এসেছে। গত ২৫ জুলাই দেশে উৎপাদন হয়েছে ১১৮১০ মেগাওয়াট, যেখানে চাহিদা ছিল ১৩৮৫০ মেগাওয়াট।
কিন্তু এর কোনোটার জ্বালানি পুরোপুরি দেশীয় উৎস থেকে যোগান দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস, তেল বা কয়লার দাম বাড়া বা কমার প্রভাব পড়ে দেশের বিদ্যুৎ খাতে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের জ্বালানি নীতির কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক জ্বালানির কোনো সমাধান হয়নি।’
‘টেকসই প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি। এর ফলে বিশ্ববাজারে গ্যাস, তেলের দাম বাড়ার কারণে আমরা একটা অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি,’ তিনি জানান।
গ্যাস : দেশে উৎপাদন কম, আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া
দেশের ১৫২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ৫৭টি কেন্দ্রর গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ১১০১৭ মেগাওয়াট।
কিন্তু গ্যাসের উৎপাদন কম হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে এখন চাহিদার তুলনায় কম গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে এসব কেন্দ্রে অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
দেশে যেখানে গ্যাসের গড় উৎপাদন হচ্ছে ২৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট, সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চাহিদাই রয়েছে ২১০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ফলে সেখানেও সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেছেন, বাংলাদেশে ২০০৫ সাল থেকে গ্যাসের উৎপাদন কমে গেলেও সেই ধারা ধরে রাখার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। বাপেক্সের বিনিয়োগে যে আর্থিক ঝুঁকি নেয়ার দরকার ছিল, হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে শূন্য হাতে ফেরার যে ঝুঁকি ছিল, সেটা কোনো সরকারই নিতে চায়নি। ফলে দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়নি, বরং আমদানি করা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানো হয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসাবে সংকট সামলাতে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন আমদানি করা ৭৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
কিন্তু স্পট মার্কেটে দাম বাড়ায় সেটির আমদানি সীমিত করেছে সরকার। এ বছরই এলএনজি আমদানি করতে সরকারে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
যদিও পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর বেসরকারি খাতের চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষের দিকে রয়েছে, যেসব কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পেট্রোবাংলা। সেই গ্যাস কোথা থেকে আসবে সেটা পরিষ্কার নয়।
গ্যাস সরবরাহ করতে না পারলে কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে সরকারকে।
তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন গলার কাটা
বিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ না পাওয়ায় ডিজেলচালিত রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের দিকে জোর দিতে শুরু করে সরকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেখানেও বড় ধাক্কা এসেছে।
ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে ১০টি, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ১২৯০ মেগাওয়াট। এর বাইরে ৬৪টি কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। এসব জ্বালানির পুরোটাই আমদানি নির্ভর। ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পেছনে প্রতি ইউনিট উৎপাদনে ৩৬ দশমিক ৮৫ টাকা খরচ হলেও সরকার বিক্রি করে মাত্র ৫ দশমিক ০৫ টাকায়। সবমিলিয়ে এ বছর বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
প্রথমে তিন বছরের জন্য এসব কেন্দ্রগুলোর অনুমোদন দেয়া হলেও পরে সেটা বাড়ানো হয়েছে।
কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিজেলচালিত কেন্দ্রগুলো বন্ধ রেখেছে সরকার। উৎপাদন বন্ধ থাকলেও সরকারকে ঠিকই ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে।
এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরেই ৩৭টি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বছরের অধিকাংশ সময় অলস বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ১৩ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা পিডিবিকে।
দেশীয় কয়লায় মাত্র একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র
দেশে বর্তমানে দুইটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এদের একটি, দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় কয়লা দিয়ে সেখানকার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চলে। অন্যদিকে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি কয়লাও আমদানি করা হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিষয়ক ২০১০ সালের মহাপরিকল্পনায় কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দিকে বেশি জোর দেয়া শুরু হয়।
তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির উৎস হিসেবে ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে কয়লা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ছিল।
সরকার এখন আশা করছেন, এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে রামপালের, এস আলম গ্রুপের, আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হবে। তখন বিদ্যুতের ঘাটতি অনেকটা কমে আসবে।
সেইসাথে এ বছরের শেষে চট্টগ্রামের ১২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। বরিশালেও একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শেষের পথে রয়েছে। কিন্তু এগুলোর সবগুলোর জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা কয়লা আমদানি করতে হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, ‘দেশের ভেতর থেকে কয়লা উত্তোলনের যে পরিবেশগত ঝুঁকি ছিল, সেটা রাজনৈতিক কারণে সরকার নিতে চায়নি। ফলে আমদানি করা কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঝুঁকি নিয়েছে। বিশ্ববাজারে এখনো কয়লার দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। কিন্তু এটার দাম বাড়া বা কমার কারণে জ্বালানি খাতের ওপরে তো অবশ্যই প্রভাব পড়বে।’
বিদ্যুৎ আমদানির ওপর জোর
দেশীয় সংকট সামলাতে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ আমদানির ওপর জোর দিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি নীতিতে দেশের মোট ব্যবহৃত বিদ্যুতের ১৫ শতাংশ আমদানির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ।
শুধুমাত্র বাংলাদেশকে দেয়ার উদ্দেশে ভারতের ঝাড়খণ্ডে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে আদানি গ্রুপ। তবে অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কয়লা-ভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর চেয়ে এখানে বেশি দাম ধরা হয়েছে।
যদিও সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে এ বছরের শেষের আগে সেই বিদ্যুৎ আসার সম্ভাবনা নেই।
বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে নয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।
তুলনামূলকভাবে দেশীয় ভর্তুকিমূল্যে গ্যাস বা ডিজেল চালিত বিদ্যুতের তুলনায় আমদানি করা বিদ্যুতে ইউনিট প্রতি খরচ কম পড়ে বাংলাদেশের।
বিদ্যুৎ আসবে কোথা থেকে?
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেছেন, ডিজেলের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় আমাদের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে সুখবর হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। এটা যদি সহনীয় জায়গায় আসে, তাহলে নিশ্চয়ই সরকার সেকেন্ড থট দেবে।
‘তবে যদি এ অবস্থাও থাকে, ধরুন, আমরা আপাতত আর ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো না, আমাদের গ্যাস যতটুকু পাওয়া যায়, এর মধ্যেই থাকবো। তাহলেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়তো এরকম থাকবে। অক্টোবর থেকে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। কারণ ওয়েদার কন্ডিশন ভালো হলে কুলিং লোড কমে যাবে আর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো (গ্রিডে) আসবে,’ তিনি বলছেন।
সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশীয় উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বলা হলেও, সেটা এই নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসের আগে পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মুখপাত্র এবং পরিচালক শামীম হাসান বলেছেন, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২য় ইউনিট, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ভারতের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্টসহ মোট ৪টি উৎস থেকে ওই বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা করছে সরকার।
তিনি বলেছেন, ‘পায়রাতে যে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে, সেখান থেকে আসবে বিদ্যুৎ। এরপর রামপালে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে সেটাও চালু হয়ে যাবে এ সময়ের মধ্যে। আর ভারতের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট, সব মিলিয়ে চারটি উৎস থেকে ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করবো।’
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক এজাজ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যেসব বড় কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে সেগুলোসহ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পূর্ণ উৎপাদনে আসার পর ভাড়ায় চালিত কেন্দ্রগুলো থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হবে।
কবে নাগাদ সে বিদ্যুৎ আসবে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এটা অক্টোবরের শেষ থেকে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে চলে আসার কথা।’
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে জানা যাচ্ছে, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২য় ইউনিট এবং রামপাল থেকে বিদ্যুৎ বিতরণের সঞ্চালন লাইন তৈরির কাজ এখনো হয়নি।
ফলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ যে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেছেন, তার একটি অংশ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারে এ বছরের শেষ নাগাদ।
সৌরবিদ্যুতে জোর দেয়ার কথা বলা হলেও এখনো দেশে এ জাতীয় বিদ্যুতের ব্যবহার কম। সরকারের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলে ৬০ লাখের বেশি গৃহস্থালিতে ইতিমধ্যেই সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যবহৃত হচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি