বৃহস্পতিবার, ০৩:০৭ অপরাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী: মির্জা ফখরুল

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩ বার পঠিত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ড. ইউনূসের ভাষণে নির্বাচনের সময় একেবারে অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই। তিনি ও তার প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। এমন বক্তব্য বিভ্রান্তি ছড়াবে। আমরা হতাশ হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা উচিত। আর অতি দ্রুত নির্বাচন সম্ভব। ঘোষিত টাইমলাইন যৌক্তিক হয়নি।

গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন,

সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তারিখ কী? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন আপনি যদি বলেন মনোনয়ন দাখিলের সময় কবে? সেটা নির্বাচন কমিশন দেবে।

অন্যদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি বলেন, যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com