সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ আইনে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারিসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার সময় সদর থানার এসআই মোহাম্মদ সাঈদ নূর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ১৭ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- জেলা জামায়াতের আমীর ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ আনোয়ারী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম নোমান, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর, শহর শাখার আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাক আহমদ, রামু উপজেলা আমির ফজলুল্লাহ মো: হাসান, সেক্রেটারি আনম হারুন, ঈদগাহ উপজেলা আমির মাওলানা সলিমুল্লাহ জিহাদী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোহসিন।
মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে- কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ওরফে গফুর মৌলভীর ছেলে আবুল কাশেম, মুহুরী পাড়া এলাকার অ্যাডভোকোটে তাহের সিকদার, চান্দের পাড়া কলেজ গেট এলাকার আল আমিন, খুরুশকুল ফকিরপাড়ার সেলিম উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য জাকির হোসাইনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- গত ২৪ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় জামায়াত-শিবিরের ২০০ জন নেতাকর্মী শহরের কালুর দোকান গ্যাস পাম্পের সামনে ঝটিকা মিছিল বের করে যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। পরে পুলিশ ও সাধারণ লোকজন এগিয়ে এলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেখান থেকে পাঁচটি লোহার রড, ১৫টি কাঠের লাঠি, ১০ টুকরো কাঁচ ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ জব্দ করা হয়।
তবে জেলা জামায়াত আমির নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছি। ভাঙচুর বা হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। দলীয় কর্মসূচিকে বাধা সৃষ্টি করতে এই গায়েবি মামলা করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, গোপনে ঝটিকা মিছিল বের করে ২৪ ডিসেম্বর ভোরে শহরে ত্রাস সৃষ্টি করে জামায়াত-শিবির। এই ঘটনায় মামলা লিপিবদ্ধ হলেও এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।