যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভেনেজুয়েলার ভেতরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেই। যদিও ভেনেজুয়েলার আশপাশে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ায় আশঙ্কা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে। খবর আল জাজিরার।
ট্রাম্পের নির্দেশে ক্যারিবীয় অঞ্চলে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্যারিবীয় এলাকায় মার্কিন রণতরী পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এয়ার ফোর্স ওয়ানে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি ভেনেজুয়েলার ভেতরে হামলার কথা বিবেচনা করছেন, জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা দাবি করেছে যে তারা ‘পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত’, সেই তথাকথিত ‘সূত্রগুলো’ আসলে ভুয়া খবর লিখে প্রতারণা করেছে।’
ওয়াশিংটন গত সেপ্টেম্বরে ক্যারিবীয় অঞ্চল ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদক চোরাচালান যুক্ত নৌযান লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। এখন পর্যন্ত এসব হামলায় অন্তত ৬২ জন নিহত হয়েছেন। ১৪টি নৌযান ও একটি আধা-ডুবোজাহাজ ধ্বংস হয়েছে।
ওই সব ছোট নৌযানকে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে দাবি করে ট্রাম্প প্রশাসনে। তাদের অভিযোগ, এসব নৌযান মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নৌযানগুলোতে সুনিশ্চিতভাবে চোরাকারবারি থেকে থাকলেও এসব হামলা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি মোতায়েনের পাশাপাশি ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বি-৫২ ও বি-১বি বোমারু বিমান চক্কর দিয়েছে। গত সোমবার সর্বশেষ এসব বোমারু বিমানকে সেখানে চক্কর দিতে দেখা গেছে।