মঙ্গলবার, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

শেখ হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ ইসলাম

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে আসেন তিনি।

তবে এর আগে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়া আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ না হওয়ার আজ নাহিদের সাক্ষ্য গ্রহণ হবে না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজি মনোয়ার হোসেন।

পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মামলায় হয়তো আমিই শেষ সাক্ষী। আমার সাক্ষ্য নেওয়ার পরই রায়ের দিকে যাবে।

ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। অর্থাৎ রায়ের দিকে দ্রুততম সময়ে যাবে। তবে বাকি সব মামলাও যেন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে চলে। এজন্য যেন নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করে সরকার।

একইসঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যেন তাদের ইশতেহারে নির্বাচনের পরও জুলাই গণহত্যার বিচার চলমান রাখার কথা উল্লেখ রাখে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রথম দিনের মতো জবানবন্দি দেন মামহমুদুর রহমান। আজ মঙ্গলবার দিলেন অবশিষ্ট জবানবন্দি। এর পর জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ১৫তম দিনে মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। কিন্তু ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে তারা সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

এর আগে, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ১৪তম দিনে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের ৪৫তম সাক্ষী হিসেবে সিআইডি ঢাকার ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর মো. শাহেদ জোবায়ের লরেন্স তার জবানবন্দি পেশ করেন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ১৩তম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তারও আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com