যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোতায়েনকৃত ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যদের টহল বন্ধ করতে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্স
ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বাধীন শহরেগুলোতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৯৭৯ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ এর একটি প্যারোডি ছবি শেয়ার করে শিকাগো থেকে অভিবাসীদের বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন।
বিচার বিভাগের তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ওয়াশিংটনে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। কারণ এটি মার্কিন কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি স্বশাসিত ফেডারেল জেলা।
ন্যাশনাল গার্ড একটি মিলিশিয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের গভর্নরদের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ ছাড়া যখন তাদের যে ফেডারেল কর্তৃপক্ষের অধীনে রাখা হয়, তখন তারা সেই কর্তৃপক্ষের অধীনেই কাজ করে। তবে ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল গার্ড সরাসরি প্রেসিডেন্টের অধীনে থাকে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শিকাগোতে অপরাধ দমনে ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য মোতায়েন করবেন, যা দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহরকে সামরিকীকরণ করার একটি ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ। এর ফলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনি দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জে.বি. প্রিটজকার সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, ‘প্রশাসন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) এজেন্ট ও সামরিক যানবাহন জড়ো করেছে এবং আরও আইসিই এজেন্ট আসার পথে রয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, তারা ওয়াশিংটন ডিসিতে যা করতে চাচ্ছেন তা একনায়কতন্ত্র। এ কাজে তারা সফল হলে অন্যান্য শহরে এটি বাস্তবায়ন করবে। তাই এখনই আমাদের এটি বন্ধ করা উচিত।
ছয়টি রিপাবলিকান-নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যের সেনা মোট ২ হাজার সেনা ওয়াশিংটনজুড়ে টহল দিচ্ছে। তাদের মিশন কখন শেষ হবে তা স্পষ্ট নয়, যদিও এই সপ্তাহে সেনাবাহিনী ওয়াশিংটন ডিসিতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের দায়িত্ব বাড়িয়েছে।