ইসরায়েলি সেনারা গাজা শহরকে দূর্ঘটনাপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র ঘোষণা করেছে এবং শহরের কেন্দ্রে বড় হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। গত শুক্রবার তারা এক বন্দীর মৃতদেহ এবং আরেকজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজা শহরে আর কোনো কৌশলগত বিরতি থাকবে না। এই বিরতিগুলো শুরু হয়েছিল এক মাস আগে, যখন আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে যায় এবং গাজায় মানবিক সংকট ও খাদ্যাভাব নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। তখন আইডিএফ জানিয়েছিল, ১০ ঘণ্টার বিরতিগুলো মানবিক কারণে রাখা হয়েছে।
গত মাসের শুরুতে যখন ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা জানিয়েছে- শহরের ভিতরে কোনো ত্রাণ বিতরণের কেন্দ্র থাকবে না। এর ফলে মানুষকে খাদ্যের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে।
ইসরায়েল ইতিমধ্যেই গাজা সীমান্ত বা পাশের এলাকাগুলোতে বোমা বর্ষণ শুরু করেছে। শহরের কাছের এই এলাকায় হামলার ফলে ফিলিস্তিনিরা শহরের গভীরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডঃ মুনির আল-বুরশ সিএনএনকে বলেন, ‘গাজা শহরে এক বর্গকিলোমিটারে মানুষের ঘনত্ব ৬০ হাজার পৌঁছেছে।
উত্তরের দিকে, হামাদ হাসপাতাল শুক্রবার জানিয়েছে যে- তারা ১১টি মৃতদেহ পেয়েছে, যারা উত্তর গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলি দখলদার সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তারা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এছাড়া হাসপাতাল জানিয়েছে, আরও ১০০ মানুষ গুলিতে আহত হয়েছেন।