যখন-তখন ইন্টারনেট শাটডাউন বা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি চিরতরে বন্ধ করতে বাংলাদেশে ইলন মাস্কের স্টারলিংককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনকাল ১৬ বছরে বেশ কয়েকবার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভ দমন বা যেকোনো বড় বিরোধী আন্দোলন দমন করার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করা একনায়ক বা স্বৈরশাসকদের একটি প্রিয় হাতিয়ার।’
‘কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় লাখ লাখ ফ্রিল্যান্সার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। অনেকের চিরতরের জন্য তাদের চুক্তি ভঙ্গ হয়েছে এবং চাকরি হারিয়েছেন।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারে স্টারলিংকের আগমনের অর্থ হলো, ভবিষ্যতে কোনো সরকার ইন্টারনেট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে পারবে না। অন্তত বিপিও ফার্ম, কল সেন্টার এবং ফ্রিল্যান্সাররা কখনো ইন্টারনেট বন্ধ করার হুমকি বা নতুন কোনো প্রচেষ্টার শিকার হবেন না।’
ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ
দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং দেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মাস্ককে পাঠানো এক চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করে বলেন, তার বাংলাদেশ সফর এ দেশের তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেবে; যারা এই অগ্রণী প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী হবেন।
চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন, একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আমরা একসঙ্গে কাজ করি। বাংলাদেশের অবকাঠামোর সঙ্গে স্টারলিংকের সংযোগ যুক্ত করা হলে, বিশেষ করে দেশের উদ্যমী যুব সমাজ, গ্রামীণ ও সুবিধাবঞ্চিত নারী এবং প্রত্যন্ত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য তা বৈপ্লবিক পরিবর্তন বয়ে আনবে।’