কারাগারে চরম অর্থসঙ্কটে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নিয়ে আজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। বেলা ১১টায় তাকে আদালতে তোলা হয়, আর বিচারক এজলাসে আসেন বেলা ১১টা ৬ মিনিটে। বিচারক এজলাসে আসার আগে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে নানা কথা বলেন পলক।
তিনি বলেন, ‘চিড়া-মুড়ি খাওয়ারও টাকা নাই। কারাগারে সুমনের (ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন) সঙ্গে রুটি-কলা ভাগ করে খাই।’
সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জেলখানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার জীবন। সবার কম করে হলেও সাত দিন জেলে থাকা উচিত। যদি কখনো কারাগার থেকে বের হতে পারি তখনো এই কথা বলব।’’
এ সময় পুলিশ পলককে কথা বলতে নিষেধ করলেন তিনি বলেন, ‘আমি কোনো বেআইনি কথা বলছি না।’
আদালতে কথা বললে রিমান্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয় অভিযোগ করে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কথা বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয়। আইনজীবীরা কথা বললে রিমান্ড বেড়ে যায়।’
এরপর ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকিকে সালাম দেন পলক। প্রথমে সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে ওমর ফারুক ফারুকি তার সালামের উত্তর দেন। এরপর পলক বলেন, ‘যাক, এইবার পিপি স্যারের মন নরম হয়েছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিয়ে লেখার সময় আপনারা একটু সদয় হবেন।’
শুনানি শেষে পলককে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম। পরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট বিকেলে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।